ঠিকানা অনলাইন 
মুরগি কেটে সেই রক্ত নিজের মুখে মেখে অন্যকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য আদালতে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ধরা পড়লেন জুলেখা আক্তার নামে এক নারী। এ ঘটনায় আদালত তাৎক্ষণিক জুলেখাকে কারাদণ্ড দেন।
মামলার এজাহার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর টেকেরহাট গ্রামের সোহেল বেপারীর স্ত্রী জুলেখা আক্তার প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর জন্য গত মঙ্গলবার মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে উপস্থিত হন। আদালতে জুলেখা মিথ্যা মামলার বিবরণ দিতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
বিষয়টি শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জানাজানি হয়। জুলেখা প্রতিপক্ষ মাসুদ বেপারীসহ চারজনকে ফাঁসানোর জন্য পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬/৩৪ ধারায় মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য উপস্থিত হন। এ সময় মামলার বাদী মিথ্যা ঘটনা লিপিবদ্ধ করেন এবং রক্তমাখা ছবি আদালতে দাখিল করেন। জুলেখার কথাবার্তা বিচারকের কাছে সন্দেহজনক মনে হলে বিচারক বাদীর কাছে হাসপাতালের চিকিৎসার কাগজপত্র দেখতে চান, বাদী হাসপাতালের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিচারকের কাছে একপর্যায়ে ঘটনা সাজানো মনে হলে তাকে দণ্ড প্রদান করেন।
মাদারীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল মামুন বলেন, জুলেখা আক্তার নামে এক নারী আদালতে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করতে আসেন। বিচারকের কাছে মামলার ঘটনা সন্দেহজনক মনে হলে তিনি ওই নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড করেন। মামলার আদেশের পরে মামলার বাদী দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী জুলেখা সরকারি কোষাগারে এক হাজার টাকা জমা দেন। পরে আদালত তাকে মুক্তি প্রদান করেন।
ঠিকানা/এনআই
