চুড়িহাট্টার পর কেমিক্যাল গোডাউন, নিমতলীর পর গ্যাস সিলিন্ডার, এফ আর টাওয়ারের পর ভবন আর বেইলি রোডের পর রেস্তোরাঁয় দায়সারা অভিযান। যে সেক্টরে আগুন, সেই সেক্টরে কয়েকদিনের তৎপরতা চলে প্রশাসনের। সকাল থেকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি ছয়তলা ভবন ও বেইলি রোডের দুটি রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে আরেকটি রেস্টুরেন্টকে।
চুড়িহাট্টার পর আবাসিক ভবনে ক্যামিকেলের গোডাউন খুঁজতে বেশ কয়েকদিন অভিযানে দেখা গিয়েছে রাজউক আর সিটি করর্পোরেশনকে। নিয়ম করে নিমতলী ট্রাজেডির পর গ্যাসের সিলিন্ডার, এফআর টাওয়ারের পর বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে কি না- তা নিয়ে মাঠে নামে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।
একই ধারাবাহিকতায় এবার বেইলী রোডে ৪৬টি মরদেহ দেখে আবারও হুঁশ হয়েছে কর্তৃপক্ষের। যেহেতু এবারের ট্রাজেডির প্লট রেস্তোরাঁ; তাই অভিযানের টার্গেটও রেস্তোরাঁ।
অভিযান চালাতে এসে ভবনে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রেস্টুরেন্ট থাকায় তোপের মুখে পড়েন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট।
বেইলি রোডের আগুনের ঘটনার পর তৎপর রাজউক, সিটি কর্পোরেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চালানো হচ্ছে অভিযান। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ রেস্টুরেন্ট ও ভবনের রুফটপ রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অভিযান শুরু হয় খিলগাঁওয়ের তালতলায়। তবে অভিযানের খবরে সেখানকার বেশিভাগ রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে পালিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। পরে নাইটিঙ্গেল স্কাইভিউ ভবনের তৃতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হয়। পাওয়া যায় ব্যাপক অনিয়মের চিত্র। সিলগালা করে দেয়া হয় পুরো ভবন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভবনের সিঁড়ি খুবই সরু। এছাড়া অনেক অনিয়ম দেখতে পেয়েছি। আপাতত কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসতে আমরা ভবন সিলগালা করে দিয়েছি।
এর আগে বেইলি রোডে গ্রীন কোজি ভবনের আশপাশের ভবন এবং রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান চালায় রাজউক। সংস্থাটি জানায়, ২০০৬ সালে অনুমদন নেয়া ভবনে যুক্ত হয়নি ২০০৮ সালের সংশোধিত বিধি। তবে পুরানো ভবন আর নতুন বিধি সমন্বয় হবে কীভাবে, সেই প্রশ্নের মেলেনি জবাব।
সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানেও পাওয়া যায় রেস্টুরেন্টগুলোর অনিয়মের চিত্র। পরে নবাবী ভোজ ও সুলতান'স ডাইনসহ সিলগালা করা হয় চারটি রেস্তোরাঁ। আগুনের মতো ঘটনা প্রতিরোধে এ ধরনের অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঠিকানা/ছালিক