Thikana News
০৭ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া ছবি সংগৃহীত



 
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়েন তিনি। রাত ৮টা ১০ মিনিটে বাসায় পৌঁছান খালেদা জিয়া।

এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে তাকে বাসায় আনা হয়।

এদিকে খালেদা জিয়া বাসায় ফেরার খবরে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ও তার বাসায় ছুটে যান বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরকে স্কর্ট দিয়ে গুলশানের বাসা পর্যন্ত যান। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ গত ৮ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে সেদিন রাতে আবার গুলশানে ‘ফিরোজা’য় ফিরে আসেন। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ প্রভৃতি রোগে ভুগছেন।

এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ হলে রাতেই এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। টানা ৫ মাস হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। টানা ৫ মাস ৫ দিন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় আসেন তিনি। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ারে যান।

ডা. জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পাশাপাশি লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী কার্ডিওলজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই বোর্ডের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকেন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স