Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

জোরপূর্বক এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে মালিকপক্ষের বিরোধিতা

জোরপূর্বক এমভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে মালিকপক্ষের বিরোধিতা
বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী। পান্টল্যান্ডের আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়েছে, ভারতীয় কমান্ডোরা সম্প্রতি ওই এলাকায় জলদস্যুদের হাত থেকে আরও একটি জাহাজ উদ্ধার করে। এর দুই দিনের মাথায়ই এবার এমভি আব্দুল্লাহ ও এর নাবিকদের বাঁচাতে অভিযানের খবর পাওয়া গেলো। তবে এ অভিযানের বিরোধিতা করেছে এমভি আব্দুল্লাহর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। তিনি পরিস্থিতিতে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করেছেন। জানিয়েছেন, তারা এ সংকটের সমাধান চান সমঝোতার মাধ্যমে। একটি সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে কোম্পানি কোনো সামরিক অভিযানকে সমর্থন করে না। কারণ, এর ফলে আমাদের নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট নৌবাহিনীগুলোকে জোরপূর্বক কোনো হস্তক্ষেপ না করার জন্য জোরালো অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।

আলোচনা বা সমঝোতার মাধ্যমে আমরা এই সংকটের সমাধান করতে চাই। 
গত ১২ই মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহকে হাইজ্যাক করে জলদস্যুরা। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি। প্রায় এক দশক ধরে চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর মাস থেকে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে জলদস্যুরা। পরপর ২০টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে তারা। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি আক্রমণে সফলও হয়েছে তারা। 

শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী আরেকটি পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধার করেছে। মাল্টিজ-পতাকাবাহী এমভি রুয়েন গত ডিসেম্বরে হাইজ্যাক হয়েছিল। ভারতীয় সেনারা এর ১৭ ক্রুকে মুক্ত করে এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করে। পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যেখানে অনেকগুলো জলদস্যু দলের ঘাঁটি রয়েছে। ওই এলাকার পুলিশ বাহিনী বলেছে, এমভি আব্দুল্লাহকে দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। 

সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতীয় নৌবাহিনী এর আগে বেশ কয়েকটি জাহাজ ছিনতাইয়ের চেষ্টা ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে রয়টার্স তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১১ সালের দিকে সবথেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। সে সময় তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল। মুক্তিপণ হিসেবে দস্যুরা হাতিয়ে নিয়েছিল শত শত মিলিয়ন ডলার।

ঠিকানা/এসআর

কমেন্ট বক্স