Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

ইতালির গণধর্ষণ মামলায় ব্রাজিলে কারাভোগ করতে হবে রবিনহোকে

ইতালির গণধর্ষণ মামলায় ব্রাজিলে কারাভোগ করতে হবে রবিনহোকে ছবি : সংগৃহীত



 
ইতালির মিলান শহরের একটি নৈশ ক্লাবে ২০১৩ সালে আলবেনিয়ান এক নারীকে ব্রাজিল তারকা রবিনহোসহ ছয়জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ইতালির আদালত। এই সাজা তিনি ব্রাজিলে খাটবেন কিনা, এবার সে বিষয়ে ব্রাজিলের আদালত রায় দিল।

যেখানে ব্রাজিলের বিচারকরা গতকাল ২০ মার্চ (বুধবার) রায় দিয়েছেন যে রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের সাবেক স্ট্রাইকার রবিনহোকে তার ধর্ষণের অভিযোগ বহাল রেখে ব্রাজিলে ৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বিচারটি ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অফ জাস্টিসে হয়েছিল। অ-সাংবিধানিক বিষয়গুলির জন্য দেশের শীর্ষ আদালত এবং একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ম দেখেছিল যে সাবেক খেলোয়াড়কে ব্রাজিলে তার সাজা ভোগ করতে হবে।

এর আগে ২০১৭ সালে রবিনহোকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় ইতালির আদালত। পরে এই সাজা অনুমোদন করে ২০২২ সালে ব্রাজিল সরকারকে তা কার্যকরের অনুরোধ জানিয়েছিল ইতালি। ব্রাজিলের একটি টিভি চ্যানেলকে গত রবিবার ৪০ বছর বয়সী স্ট্রাইকার সাক্ষাৎকার দেন। এতে তিনি বলেন, ‘আশা করি ব্রাজিলে আমি সে ভাবে কথা বলতে পারব, যেটা সেখানে (ইতালি) বলতে পারিনি।’

তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাল ব্রাজিলের সুপিরিয়র কোর্ট অব জাস্টিস (এসটিজে)। যেখানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ব্রাজিলের সাবেক ফরোয়ার্ড রবিনহোকে ৯ বছরের জেল দিয়েছিল ইতালির আদালত। সেই সাজা তাকে নিজ দেশ ব্রাজিলে খাটতে হবে।

ধর্ষণের অভিযোগে শাস্তি পেলেও এখনও মুক্ত জীবন যাপন করে যাচ্ছেন রবিনহো। ২০১৩ সালে গণধর্ষণে যে ৬ জনের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন রবিনহো। ওই সময় তিনি এসি মিলানে খেলতেন।

ইতালির সর্বোচ্চ আদালত এই ঘটনায় তার ৯ বছরের শাস্তির সাজা বহাল রাখে। পরে ইতালিয়ান প্রসিকিউটররা তা বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো নাগরিককে হস্তান্তর করে না ব্রাজিল। তাই ইতালিয়ান কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানায় রবিনহোর শাস্তিটা যেন তার দেশেই কার্যকর করা হয়।

অবশ্য রবিনহো ইতালির বিচার ব্যবস্থাকে বর্ণবাদী বলে মন্তব্য করেছিলেন। ব্রাজিলিয়ান নেটওয়ার্ক টিভি রেকর্ডকে আরও বলেছেন, ‘ওই নারীর সঙ্গে যাই ঘটেছে সেটা ছিল সম্মতিমূলক।’ তবে রবিনহোর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এটিই প্রথম ছিল না। ইংল্যান্ডে ২০০৯ সালে এক তরুণীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তিনি আটক হয়েছিলেন। তবে সেবারে তদন্তের পর মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলে যে বিখ্যাত ক্লাবে খেলেছিলেন, সেই সান্তোসে ক্যারিয়ার শুরু করেন রবিনহো। তাকে রোনালদো, রিভালদো ও রোনালদিনহোর সোনালী প্রজন্মের উত্তরসূরি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে তিনি সান্তোস ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে রোনালদো ও ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে যোগ দেন।

ব্রাজিলের জার্সিতে ২০০৫ ও ২০০৯ সালে কনফেডারেশন কাপ এবং ২০০৭ সালে কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছিলেন রবিনহো। ২০২০ সালে সান্তোসে ফিরে আসলেও ভক্ত, স্পন্সর এবং গণমাধ্যমের চাপের পরে ক্লাবটি চুক্তি বাতিল করে। যার ফলে তার ক্যারিয়ারের আকস্মিক সমাপ্তি ঘটেছিল।

ঠিকানা/ছালিক 

কমেন্ট বক্স