Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

দলে প্রকাশ্যে বিভক্তির মধ্যে কাউন্সিল  করছে নুরের গণঅধিকার পরিষদ

দলে প্রকাশ্যে বিভক্তির মধ্যে কাউন্সিল  করছে নুরের গণঅধিকার পরিষদ কাউন্সিল উপলক্ষে নেতা-কর্মী সমবেত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে।



 
পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিল করছে গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন অংশ। গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ বলছে, এ কাউন্সিল ‘অবৈধ’।

ফকিরাপুলের প্রীতম জামান টাওয়ারে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ ১০ জুলাই (সোমবার) স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ডের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

নির্বাচনে সভাপতি পদে তিন জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বর্তমান সদস্য সচিব নূরুল হক নূর ছাড়াও বায়েজীদ হোসেন শাহেদ ও নাজম-উস-সাকিব সভাপতি পদের দাবিদার। আর দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকা রাশেদ খান ছাড়াও বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, জিলু খান ও হাসান আল মামুন সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী।

এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২১৬ জন। এর মধ্যে উচ্চতর পরিষদের ভোটার সংখ্যা ১২৬। বাকিরা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ভোটার তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

কাউন্সিল উপলক্ষে জামান টাওয়ারে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী সমবেত হয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে তেমন উৎসাহ দেখা যায়নি। কেউ কেউ বলেছেন, দুই গ্রুপ হওয়ায় পার্টি ক্ষতিগ্রস্থ হল।

জোনাব আলী নামে এক কর্মী বলেন, “ভাই, যাই বলেন, আমরা সবাই ইয়াং। কিন্তু আজকে গণঅধিকার পরিষদের যেমন শক্তি প্রদর্শন হওয়ার কথা ছিল, সেটা কিন্ত আপনি দেখছেন না। এর কারণ বিভক্তি।”

গণঅধিকার পরিষদের জাতীয় কাউন্সিল ও উচ্চতর পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে গত ২ জুলাই ৪ সদস্যের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বোর্ড গঠন করা হয়। তাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয় গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলামকে। নির্বাচন কমিশনার করা হয় সহকারী আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৌফিক শাহরিয়ার, সহকারী আহ্বায়ক মাহবুব জনি এবং সদস্য তোফাজ্জল হোসেনকে।

উচ্চতর পরিষদে আটটি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮ জন প্রার্থী। তারা হলেন- শাকিল উজ্জামান, হানিফ খান সজিব, ফিরোজ আহমেদ, আবু হানিফ, শহীদুল ইসলাম ফাহিম, আনিসুর রহমান মোল্লা, ওয়াহিদুর রহমান মিল্কী, ফাতেমা তাসনিম,সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সাদ্দাম হোসেন, আল আমিন মিনা, মো. জসিম উদ্দিন, মঞ্জুর ইসলাম, এসএম সাফায়েত, আবদুল্লাহ আল মামুন সুজন ও আব্দুজ জাহের।

নুরুল হক নুর ৯ জুলাই (রবিবার) বিকালে বলেন, “এই কাউন্সিলের মাধ্যমে দলে নবজাগরণ হবে। অত্যন্ত সফল কাউন্সিল হবে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “যত ষড়যন্ত্র হোক না কেনো, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসবে। টানটান উত্তেজনা আছে। প্রার্থীদের শক্তিশালী অবস্থান ও ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।”

অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হাসান বলেছিলেন, “এটা অবৈধ কাউন্সিল। আর এই কাউন্সিল তারা গায়ের জোরে করছে। অফিসকে তারা দখল করে রেখেছে।”

রেজা কিবরিয়ার অনুসারীরা বেলা ১১টার পর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয় থেকে প্রীতম জামান টাওয়ারের সামনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। তবে সোমবার সকালে সেই কর্মসূচি স্থগিত করে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে নুরদের প্রতি।

ফারুক হাসান বলেন, “আমারা মিছিলের কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আমরা সংঘর্ষ চাই না।”

এসআর

কমেন্ট বক্স