Thikana News
২৩ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

মিশিগানে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

মিশিগানে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন শহরে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুর পৌনে দুইটায় নিজ বাড়ির সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন হোসেন আল রাজী (১৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মিশিগানে বসবাসরত হাজার হাজার বাংলাদেশি। নিউইয়র্কে মানসিক ভারসাম্যহীন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবক উইন রোজারিওকে গুলি করে হত্যার মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে মিশিগানে ওই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করল পুলিশ। এ দুটি ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

পুলিশের দাবি, আল রাজী পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের এ দাবিকে অসত্য বলে উল্লেখ করেছেন আল রাজীর বাবা মোহাম্মদ আতিক হোসেন। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করায় জরুরি সেবা ৯১১-এ কল দেওয়া হয়। তবে পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে, এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।

জানা যায়, নিজের ঘরে হাতে অস্ত্র নিয়ে বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছিলেন আল রাজী। তার উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ঘাবড়ে যায় পরিবারটি। ভয় পেয়ে তার বাবা-মা ছোট বোনকে নিয়ে গ্যারেজে গাড়ির ভেতর আশ্রয় নেন। ১৬ বছরের ছোট ভাইয়ের ফোনকল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ আল রাজীকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে অস্ত্র ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে। কিন্তু এতে তিনি কর্ণপাত করেননি। আল রাজী অস্ত্র হাতে নিয়ে ঘরের বাইরে আসার চেষ্টা করেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে এসে যুবকটির হাতে অস্ত্র দেখা যায়। সেটি ফেলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ। কিন্তু ওই যুবক এতে কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে অস্ত্র প্রদর্শন করলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ওয়ারেন পুলিশ অফিসার ক্যাপ্টেন ছ্যারলেস রোশটন।

জানা গেছে, আতিক হোসেনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌর এলাকার সুপাতলায়। তার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে আল রাজী বড়। সাত বছর আগে ফ্যামিলি ভিসায় তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। থাকতেন ওয়ারেন শহরের রায়ান সড়কের এলিভেন মাইলের গারবর স্ট্রিটে।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স