আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কয়েক দফা পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ ও হামলায় একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি ঘর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পুরো গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক তৈরির অভিযোগ ওঠেছে।
১৬ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সদরের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারীর অনুসারী বাহাদুর মিয়া ও ইউপি সদস্য ডলি বেগম গ্রুপের সঙ্গে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহসিনা হক কল্পনার অনুসারী বাবু কাজী, শওকত ও ইউপি সদস্য সুমা গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জেরে উভয় পক্ষ সকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। এ সময় গাবুয়া বাড়ি এলাকার বাবু কাজী নেতৃত্বে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে স্বর্ণঅলংকারসহ নগদ টাকা লুটপাট করা হয়।
এরপর এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উভয় পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ সময় থেমে থেমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা চলতে থাকায় ইউনিয়নের ঢালীকান্দি, মুন্সীকান্দি ও উত্তর বেহেরকান্দি গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন গুরুতর আহত হয়।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সিফাত (২০) ও ককটেল বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আম্বিয়া খাতুন (৬০)কে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নেয়ায় পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া সহিংসতা এড়াতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
ঠিকানা/এএস