টানা ৬ হারের পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একের পর এক দাপুটে জয়ে উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারের স্বাদ দিল টেবিলের তলানিতে থাকা দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আইপিএলের ৩৪তম ম্যাচে ৩৫ রানের জয় পেয়েছেন কোহলিরা। ২০৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে থেমেছে হায়দরাবাদ।
ঘরের মাঠে রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর বোলারদের তোপে পড়েন হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ওপেনার অভিষেক শর্মা ১৩ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও টপ অর্ডারের বাকি দুই ব্যাটার ব্যর্থ হন। ট্রাভিস হেড ৩ বলে ১ আর এইডেন মার্করাম ৮ বলে ৭ রান করে আউট হন। শুরুর ধাক্কা সামলে আর লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি স্বাগতিকরা। ৬৯ রানের মধ্যে সেরা পাঁচ ব্যাটারকে হারিয়ে আগেই পরাজয়কে বরণ করে নেয় তারা।
সতীর্থদের অসহায় আত্মসমর্পণের মধ্যে শাহবাজ আহমেদ ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া ১৫ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন প্যাট কামিন্স। দুজনের ইনিংস খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও কমে হারের ব্যবধান। বেঙ্গালুরুর হয়ে দারুণ বোলিংয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন ক্যামেরন গ্রিন ও করন শর্মা।
এর আগে প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। এক পাশে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি ধীরস্থির ব্যাট করে গেলেও অপর প্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন বর্তমান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। তাদের ৪৮ রানের জুটি ভাঙেন নাতারাজান। ১২ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডু প্লেসি। এরপর উইল জ্যাকস ক্রিজে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ৯ বলে ৬ রান করে তিনি বোল্ড হন মায়াঙ্ক মারকান্দের বলে।
জ্যাকসের বিদায়ের পর ক্রিজে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রজত পাতিদার। তিনি যখন ক্রিজে নামেন, তখন ২১ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। অথচ তার আগেই ফিফটি তুলে নেন পাতিদার। তাকে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছড়িয়ে ১৯ বলে অর্ধশতক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাকে থামান জয়দেভ উনাদকাট। ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৫০ রানে থামেন তিনি।
অন্যদিকে ৩৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন কোহলি। তাকেও সাজঘরের পথ দেখান উনাদকাট। ৪৩ বলে ৫১ রানে থামে তার ইনিংস। শেষ দিকে ক্যামেরন গ্রিনের ২০ বলে ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। হায়দরাবাদের হয়ে ৩০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট তু্লে নেন উনাদকাট।
টানা ৬ হারের পর আসরে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলেও পয়েন্ট টেবিলে কোনো উন্নতি হয়নি বেঙ্গালুরুর। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতেই অবস্থান করছে তারা। অন্যদিকে দুইয়ে ওঠার সুযোগ নষ্ট করেছে হায়দরাবাদের। ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে অরেঞ্জ আর্মিরা।
ঠিকানা/এনআই