জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স গ্রহণকারী দেশ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে ভারত। ২০২২ সালে দেশটি ১১১ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ১০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয়ের মাইলফলক অর্জন করেছে ভারত।
মঙ্গলবার (৭ মে) জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রেমিট্যান্স-প্রাপ্তির দিক থেকে ভারতের অবস্থান বিশ্বে প্রথম। এর পরই ২০২২ সালে ৬১.১০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। ২০২১ সালেও দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল দেশটি। তালিকার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স।
এদিকে ২০২২ সালে রেমিট্যান্স-প্রাপ্তিতে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ অবস্থানে আছে পাকিস্তান। দেশটি প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। তালিকার সপ্তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মিসর। ২০২২ সালে দেশটি রেমিট্যান্স থেকে আয় করেছে ২৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বব্যাপী রেমিট্যান্সের সবচেয়ে বেশি প্রবাহ পায়, কারণ এই অঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক রয়েছেন। তিনটি দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ১০টি আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স প্রাপকদের মধ্যে রয়েছে। নবম অবস্থানে থাকা নাইজেরিয়া ২০ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার এবং দশম অবস্থানে থাকা জার্মানি ১৯ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।
রেমিট্যান্স-প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ অষ্টম অবস্থানে থাকলেও অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বে ষষ্ঠ। অভিবাসী পাঠানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ ৫ দেশ হচ্ছে ভারত, মেক্সিকো, রাশিয়া, চীন ও সিরিয়া।
আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়, রেমিট্যান্স বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বহু মানুষের লাইফলাইন হলেও এসব দেশ থেকে যাওয়া অভিবাসী কর্মীরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন, আর্থিক শোষণের শিকার হন, অভিবাসন খরচের কারণে অতিরিক্ত আর্থিক দেনায় ডুবে যান। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে নিপীড়নের শিকার হওয়ার পাশাপাশি তারা ‘জেনোফোবিয়া’রও (বিদেশিদের প্রতি ঘৃণার মনোভাব) শিকার হন।
আইওএমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় দেশগুলো অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য। উপসাগরীয় দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ অভিবাসীরা।
বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, ইথিওপিয়া ও কেনিয়ার অভিবাসীদের একটি বড় অংশ নির্মাণ, আতিথেয়তা, নিরাপত্তা, গৃহকর্ম ও রিটেইল খাতে কাজ করে।
ঠিকানা/এনআই