সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার মানুষের উপার্জনের একমাত্র উৎস সুন্দরবন। বর্তমানে সুন্দরবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঠিকমতো দুমুঠো খাবার পড়ে না তাদের পাতে। একই সঙ্গে সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণেও অনিয়মের শিকার সুন্দরবননির্ভর মানুষগুলো। আর এর মধ্যে ঈদুল আজহা এসে হাজির হলেও তাদের খালি পাতে নেই ঈদ আনন্দের লেশমাত্রও!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুন্দরবননির্ভর বাসিন্দাদের অনেকেই পায়নি সরকারি খাদ্য সহায়তা। কেউ কেউ পেলেও তাতে ঈদের আনন্দ নেই। মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এছাড়া সরকারি খাদ্য সহায়তা দিতে ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বজনপ্রীতির কথা স্বীকার করেছেন খোদ স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান। যদিও জেলা প্রশাসক জানান, কেউ সরকারি সহায়তা বঞ্চিত হবে না।
সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাকাল পার করছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দারা। ফলে ঈদের নতুন জামাকাপড় আর সেমাই-চিনি তো দূরের কথা, দুবেলা খাবার জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সরকারের ঈদের খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের।বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানরা খাদ্য সহায়তা দিতে স্বজনপ্রীতি করেছেন। ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত থেকে গেছেন। এ অভিযোগের কথাটি স্বীকার করেছেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম।
তিনি বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যানদের স্বজনপ্রীতির কথা শুনেছি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যাতে সরকারি খাদ্য সহায়তা থেকে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত না হয় সে বিষয়ে দেখবো।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, উপকূলীয় অঞ্চল শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার নদীপাড়ের পরিবারগুলোকে সরকারি বিভিন্ন খাতের খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় নদীর কিনারে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন জনপ্রতিনিধিরা।
ঠিকানা/এস আর


ঠিকানা অনলাইন


