ব্রিটেনের ইতিহাসে কখনোই মন্ত্রিসভার অর্ধেক নারী সদস্যের উপস্থিতি ছিল না। এমনকি এর আগে কখনোই কোনো নারী দেশটির অর্থমন্ত্রী তথা চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেননি। সেই বিবেচনায় কিয়ের স্টারমার তার মন্ত্রিসভায় বেশ নতুনত্ব এনেছেন। ২২ সদস্যবিশিষ্ট এই মন্ত্রিসভায় ১১ জনই নারী, যা ব্রিটেনের ইতিহাসে রেকর্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, কিয়ের স্টারমার নিজের কাছে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়া অন্য কোনো দায়িত্ব রাখেননি। তার মন্ত্রিসভার উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাঞ্জেলা রেইনার। অর্থমন্ত্রী তথা চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন র্যাচেল রিভস।
অর্থ মন্ত্রণালয়, উপপ্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেয়েছেন একজন নারী। তিনি হলেন ইভেট কুপার। এর আগে ঋষি সুনাকের সরকারেও এক নারী সুয়েলা ব্রেভারম্যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় ব্রিটিশ বিচারমন্ত্রী হয়েছেন শাবানা মাহমুদ। ব্রিটেনের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী হিসেবে তিনি এ দায়িত্ব পেয়েছেন। তার আগে প্রথম নারী হিসেবে এই মন্ত্রণালয় সামলেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছেন এক নারী; ব্রিজেট ফিলিপসন। এ ছাড়া শ্রম ও পেনশনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন লিজ কিনডাল এবং পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন লুইস হেই।
স্টারমারের মন্ত্রিসভায় লিসা ন্যান্ডি পেয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্ট তথা হাউস অব কমন্স-বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন লুসি পাওয়েল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডস-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও হয়েছেন এক নারী; ব্যারনেস স্মিথ অব ব্যাসিলডন। এ ছাড়া জো স্টিভেনস দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়েলস-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে।
ঠিকানা/এনআই