সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শনিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাকে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ (আমলি আদালত-৫ কানাইঘাট কোর্ট) আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে শহরতলীর বাদাঘাট এলাকায় কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে গেলে সেখানকার সহকারী সার্জন সাবেক বিচারপতি মানিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ তাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। আগে থেকেই তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে। এ ছাড়া তার হার্টে বাইপাস সার্জারি করা আছে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ওনার শরীরে কাটা-ছেঁড়া, দাগ ও জখম রয়েছে। উনি হয়তো কোথাও পড়ে গিয়েছিলেন অথবা মারধরের শিকার হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আমাদের সহকারী সার্জনের পরামর্শে তাকে ওসমানীতে প্রেরণ করা হয়েছে। কারাগারে আসার আগে থেকেই তিনি অসুস্থ।’
ওসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাফর ইমাম জানান, ‘কী সমস্যা সঠিক জানি না। ওনার অপারেশন চলছে পঞ্চম তলার সার্জারি বিভাগে অপারেশন থিয়েটারে।’
এর আগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে নিয়ে আসা হলে উত্তেজিত জনতা মানিককে লক্ষ্য করে ডিম-জুতা নিক্ষেপ, পুলিশি বেষ্টনী ডিঙিয়ে কিল-ঘুষি মারতে দেখা গেছে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তাবলয় তৈরি করে তাকে দ্রুত আদালতে নিয়ে যান। কানাইঘাট থানা-পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় তাকে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ সময় মানিকের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না জানিয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম বলেন, আসামি আদালতকে বলেছেন, তিনি বয়স্ক মানুষ। শারীরিকভাবে অসুস্থ। আটককালীন চিকিৎসার পাশাপাশি সাবেক বিচারপতি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তিনি। সাবেক বিচারপতি হিসেবে জেল কোডের বিধান অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার দিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করে বিজিবির ১৯ ব্যাটালিয়ন।
ঠিকানা/এনআই