Thikana News
২৪ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে ছাত্ররা

রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছে ছাত্ররা ছবি সংগৃহীত
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদচ্যুতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) এই আলটিমেটামের সময় শেষ হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে একটি দাবি পূরণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতিসহ চারটি দাবি এখনো পূরণ হয়নি। রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির দাবির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার নমনীয় থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যের কারণে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ কিংবা পদচ্যুতি কোনোটাই ঘটেনি। তাই মতানৈক্য দূর করতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের বৈঠকের কথা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ। সংলাপের পরও এ সিদ্ধান্তে ঐকমত্য না হলে রাজপথে মোকাবিলা করার কথা জানান তিনি।

গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক গণজমায়েত থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতিসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। দাবিগুলো হলো বাহাত্তরের সংবিধান অনতিবিলম্বে বাতিল করে সেই জায়গায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লেখা, এ সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করা, জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের ‘স্পিরিটের আলোকে’ এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ‘প্রক্লেমেশান অব রিপাবলিক’ ঘোষণা এবং গত তিনটি নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা। এর মধ্যে গত বুধবার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে গেজেট প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাষ্ট্রপতির অপসারণে আলটিমেটাম ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে। আমরা এখন তাদের সঙ্গে কথা বলব। তারা কেন রাষ্ট্রপতিকে রাখতে চাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার থেকে প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে আমরা সংলাপে বসব। রাষ্ট্রপতি কোনোভাবেই আর থাকছেন না। তবে আমরা চাচ্ছি রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত আসুক। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই আমরা বসব। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কাউকে এ সংলাপে আমরা রাখব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম অংশ। বিএনপি কেন বিরোধিতা করছে আমরা জানি না। তারা যেহেতু পুরোনো দল, সংকট সম্পর্কেও তারা ভালো জানতে পারে। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলের অফিশিয়াল বক্তব্য আমরা জানতে চাইব। কোন ধরনের সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তারা দেখছেন এবং তার সমাধান আমরা বের করব। সংকট যদি হয়েও থাকে, সেটা মোকাবিলায় বিএনপিসহ দলগুলোর অংশগ্রহণ চাইব। নিশ্চয় এ সমাধান ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের চেয়েও কঠিন হবে না।’

আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমরা মনে করি না রাষ্ট্রপতিকে সরাতে কোনো সংকট আছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করতে হবে, এটা জাতির কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি। আমরা চাচ্ছি সবাইকে নিয়েই তা করতে। কেউ যদি আসতে না চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা সেটি রাজপথে মোকাবিলা করব।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির প্রশ্নে একটা জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে জন্য আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসব। আশা করি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত আসবে।’

এর আগে গত বুধবার শহীদ মিনারে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ৭২-এর সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘হাসিনা ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ এখনো বিরাজমান। ফ্যাসিস্ট রেজিমের কোনো অংশ বাংলাদেশে আমরা বিরাজমান দেখতে চাই না। এই ফয়সালা রাজনৈতিক দলগুলোকে করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান করব আপনারা বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য কোনো হটকারী সিদ্ধান্ত নেবেন না। হাসিনা ফ্যাসিস্ট রেজিমের অংশ চুপ্পুকে (রাষ্ট্রপতির ডাকনাম) অপসারণের দাবিতে আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চুপ্পুর অপসারণ ও ৭২-এর সংবিধান বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স