সবকিছু যাক থেমে আজ
বিশ্বচরাচর, সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ,
হৃদয়ের স্পন্দন, জীবনের স্লোগান।
নিভে যাক আলোর বন্যা,
নিষ্প্রভ হোক সন্ধ্যাতারা,
অমানিশায় ঢেকে যাক রাতের আকাশ
ঘুমিয়ে পড়ুক বৈচিত্র্যময় পার্থিব জগৎ।
তোমায় ছাড়া এত আলোর পৃথিবী;-
অসহ্যের কাঁটায় এফোঁড়-ওফোঁড় করে
হৃদয়ের দেয়ালে জাপটে মরে বুকের নিঃশ্বাস,
আমি জেগে থাকি সারা রাত,
নাড়ির এ পাশে আমি অপর প্রান্তে তুমি
তুমি কি ঘুমাও তখন ভাইয়া আমার?
কোজাগরী আকাশ নিস্তব্ধ করে
অপার বিস্ময় অপলক মুগ্ধতা নিয়ে,
অথচ এপাশ-ওপাশ করে ভোর হয়ে যায়
আজানের সুরে মুসল্লিরা বেরিয়ে পড়ে
তোমারও কি তাতে টুটে যায় ঘুম
যেভাবে আমার জড়ায় না পল্লব,
ত্রিশ হাজার আটশত চৌষট্টিটি ঘণ্টা!
শুনিনি তোমার মমতায় জড়ানো
সেই কেমন আছিস উজির মা!
কী করে তবে আসে নিশ্চিন্ত মরণ?
প্রতিদিন ফোন করিস যখন তখন
বলেছিলে শপথের ওয়াস্তায় বেঁধে দিয়ে,
থাকব জেগে অহর্নিশ;-
ভাবিস না যেন বিন্দুখানি
বরং স্ক্রিনে তোর নাম্বার দেখেই
আমায় নব উদ্যমে বাঁচিয়ে রাখে
আছিস ভালো জানে হৃদয়খানি।
এই মহামারির সর্বনাশা তাণ্ডবে
যাসনে ছেড়ে কোথাও যেন,
অথচ সেই তুমি নিজেই লুকালে না বলেই
এক দুনিয়া ব্যথাগুলো গচ্ছিত রেখে
কোথায় গেলে, কই হারালে জোনাক ঘুমে?



নন্দিনী মুস্তাফী


