Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি ড. আলী রীয়াজ

৭২’র সংবিধান রচনায় জড়িত দুজন বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না

৭২’র সংবিধান রচনায় জড়িত দুজন বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীনের মুখোমুখি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।



 
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. আলী রীয়াজ দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি বিষয় আলোচনায় আছে। সেটা হচ্ছে- তিনি বাংলাদেশের শুধু নন, মার্কিন নাগরিকও। এর কোনো প্রভাব কী আগামীর সংবিধানে পড়তে যাচ্ছে- এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ বলছেন, তার কমিশন কোনো সংবিধান বানাচ্ছে না। তারা শুধু সুপারিশ করবেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। কিন্তু বাহাত্তরের সংবিধান রচনার সঙ্গে জড়িত অন্তত দুজন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে অতীতের এমন নজির সামনে আনেন ড. আলী রীয়াজ।
সংবিধান সংস্কার ছাড়াও ধর্ম নিরপেক্ষতা, অর্ন্তবর্তী সরকারের মেয়াদ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা- এমন নানা বিষয়ে টকশোর উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের প্রশ্নের জবাব দেন ড. আলী রীয়াজ। এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি দেখা গেছে ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা)।
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে আছে ইসলাম। এভাবে রাষ্ট্রধর্ম অনেক দেশের সংবিধানেই আছে- বলছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি মনে করেন, কোনো দেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকা, কোথাও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে গির্জা থাকা কোনো সমস্যা নয়। একটি রাষ্ট্রে সবার অধিকার রক্ষা করা যাচ্ছে কি না, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ, সেদিকেই নজর রাখা উচিত।
ড. আলী রীয়াজ যখন অর্ন্তবর্তী সরকারের আহ্বানে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন, তার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে সংবিধান নতুন করে লেখার পক্ষে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সেটা শুধু তার ব্যক্তিগত অবস্থান। কমিশনের কাজে প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কমিশন সংবিধানের কোনো খসড়া করছে না। তাদের কাজ হচ্ছে সংবিধান বিষয়ে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিয়ে, সেগুলো সুপারিশ আকারে সরকারের কাছে জমা দেওয়া। সংবিধান পরিবর্তন, সংশোধন নাকি নতুন করে প্রনয়ন- এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার কমিশনের নেই, বলছেন তিনি।
বাংলাদেশের সংবিধানে থাকা রাষ্ট্রের চার মূলনীতির একটি- ধর্ম নিরপেক্ষতা। সংবিধান সংস্কার সামনে রেখে এ নিয়েও অনেক আলোচনা হচ্ছে। এটা সংবিধান থেকে বাদ পড়তে পারে, এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। আবার সমাজের একটি অংশ অনেক আগে থেকেই ধর্ম নিরপেক্ষতাকে ‘ধর্মহীনতা’ আখ্যা দিয়ে একে বাতিল করার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, বাহাত্তরে সংবিধান রচনার সময় সেক্যুলারিজমের ভুল অনুবাদ ছিল ধর্ম নিরপেক্ষতা। এ কারণেই ঝামেলায় পড়েছে গোটা জাতি। তবে সেক্যুলারিজমের সঙ্গে ধর্মহীনতার কোনো সম্পর্কই নেই। এটা অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তা।

ঠিকানা/শই

কমেন্ট বক্স