Thikana News
০৩ নভেম্বর ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫





 

ইসির সামনে বড় ৫ চ্যালেঞ্জ

ইসির সামনে বড় ৫ চ্যালেঞ্জ ছবি: সংগৃহীত





 
দেশবাসীর বহুল কাঙ্খিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সামনে মোটাদাগে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চ্যালেঞ্জগুলো হলো সুষ্ঠু ভোটার তালিকা তৈরি, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা, নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তি দমন করা, বিমুখ ভোটারদের নির্বাচনমুখী করা এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। এর বাইরেও ছোটখাটো অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে ইসির সামনে, যেগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করছেন কমিশনের সদস্যরা।
বিগত আওয়ামী লীগের আমলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর ভোটারবিহীন নির্বাচন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন এমপি বিজয়ী হওয়া, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং অনেক রাজনৈতিক দলের সক্রিয় অংশ না নেওয়া এসব নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশেষ করে, ভোটাররা নির্বাচনবিমুখ হয়েছেন। ওই তিনটি জাতীয় নির্বাচনের জঞ্জাল সাফ করে ত্রয়োদশ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করাই নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইসি সূত্র বলছে, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ হচ্ছে। ইসি যাতে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন বাতিল করতে পারে, সে জন্য আইনি ক্ষমতা পাচ্ছে। কর্মী ও কর্মকর্তারা একপেশে আচরণ করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার আইন আসছে। কিছু সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তন হতে পারে এবং একটা সুষ্ঠু ভোটার তালিকা তৈরির কাজ চলছে। 
এদিকে সংসদীয় আসনের ডিলিমিটেশন, আইন পরিবর্তনসহ বেশ কিছু সুপারিশ করেছে ইসি সংস্কার কমিশন। তার মধ্যে আইন সংস্কারও রয়েছে।
এ বিষয়ে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা এখানে খাস নিয়তে কাজ করছি এবং করব। আমাদের চ্যালেঞ্জ একটা, তা হলো জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া। এটাকেই আমরা মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। এটাই আমরা মোকাবিলা করতে চাই। তার জন্য প্রথমত ক্লিন ভোটার লিস্ট তৈরি, ইসির কর্মী ও কর্মকর্তা, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে ইসির সক্ষমতা বাড়াতে আইন সংশোধন, যেসব সংসদীয় আসন ডিলিমিটেশন দরকার- সেগুলো পর্যালোচনা করে সীমানা পরিবর্তন। আরেক বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভোটাররা যাতে নির্বাচনমুখী হন, তার জন্য ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ।
সিইসি জানান, ইসির দৃশ্যমান যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, এর বাইরে আরও বহুবিধ প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে। নিত্যনতুন অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এই দায়িত্বকে জীবনের বড় সুযোগ হিসেবে দেখছি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার প্রাথমিক সময়সীমা দিয়েছেন। আমরাও সেটাকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি।
ইসি সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচন একেবারে একপেশে ও পাতানো হয়েছে। ভোটাররা এতে ভোট দিতে আসেননি। ভোটারবিমুখ নির্বাচন ছিল। তাই নাসির উদ্দীন কমিশনের ওপর বাড়তি দায়িত্ব আছে। এত বছরের জঞ্জাল সরানোর চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও পেশিশক্তি, কালোটাকায় ভোট চুরির নির্বাচন ছিল বিগত ৩ নির্বাচন। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে সম্ভব হয়, সে জন্য সংস্কার কমিশন গঠন করেছে বর্তমান সরকার। ইসি সংস্কারে আমরা কাজ করছি। কিছু আইনি সংস্কার তো আছেই। এ ছাড়া ইভিএমে ভোট না নেওয়া, না ভোট প্রচলন, ইসির ক্ষমতা বাড়ানো, প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করাসহ কিছু সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক সংস্কার, কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হচ্ছে। আমরা কিছু সুপারিশ শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেব।


 

কমেন্ট বক্স