ঠিকানা রিপোর্ট 
পাবলিক পার্টনারশিপস এলএলসি (PPL)-এর সঙ্গে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডিএইচ কেয়ারের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। গত ১০ মার্চ প্রতিষ্ঠান দুটি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি মোতাবেক, এখন থেকে ডিএইচ কেয়ার কনজিউমার ডিরেক্টেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামের (CDPAP) অধীনে ব্যক্তিগত সহায়তাকারীদের (PAs) জন্য যৌথ নিয়োগকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালণ এবং সুবিধাসমূহ শুধুমাত্র প্রক্রিয়াকরণ করবে।
ডিএইচ হোম কেয়ারের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহরিয়ার রহমান জানান, চুক্তির অধীনে তার প্রতিষ্ঠান এখন থেকে অর্পিত পেশাগত পরিষেবাগুলো প্রদান করবে। তাদের সাথে যোগাযোগ : 172-15 Hillside Ave, Jamaica,. Tel : 718-459-0180
এদিকে পিপিএলের গ্রাহকসংখ্যা ইতিমধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার ভোক্তা, ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সহায়তাকারী (পিএ) নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৭ মার্চ নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথের সর্বশেষ সিডিপ্যাপ ট্রানজিশন অগ্রগতির আপডেট থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, পিপিএলের মাধ্যমে সিডিপ্যাপের সেবা আগামী ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে। ইতিমধ্যে যারা কেস স্থানান্তর করেছেন, তাদের সেবা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। ২৮ মার্চের মধ্যে যারা নিবন্ধন করবেন, তারাও ১ এপ্রিল থেকে সেবা পাবেন। যারা ২৮ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করবেন না, তারা পরে কেস স্থানান্তর করতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকলেও এটা স্পষ্ট, তারা ১ এপ্রিল থেকে সিডিপ্যাপের সেবা পাবেন না। এদিকে এখনো দেড় লাখের মতো সিডিপ্যাপের সেবাগ্রহীতা ও দেড় লাখের মতো সেবাদাতা নিবন্ধনের বাইরে আছেন। সেবা নিতে চাইলে তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে।
নিউইয়র্ক স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ ১৭ মার্চ স্টেটব্যাপী আর্থিক মধ্যস্থতায় কনজিউমার ডাইরেক্টেড পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (সিডিপ্যাপ) ট্রানজিশনের সর্বশেষ অগ্রগতি ঘোষণা করে। গত ৬ জানুয়ারি পিপিএলের কাছে কেস স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তিগত সহকারী পাবলিক পার্টনারশিপ এলএলসির (পিপিএল) সঙ্গে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
স্টেট স্বাস্থ্য কমিশনার ড. জেমস ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, আমরা নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছি এবং প্রতিদিন আমরা গ্রাহক এবং ব্যক্তিগত সহকারীর কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি যে এই প্রক্রিয়া কতটা সহজ। যারা এখনো তাদের নিবন্ধন শুরু করেননি, তাদের পিপিএলে নিবন্ধন করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে এবং সময়মতো অর্থ প্রদান এবং পরিষেবায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য আমি উৎসাহিত করছি।
এদিকে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রচারের জন্য পিপিএল গ্রাহকদের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অব্যাহত রেখেছে। ১ এপ্রিলের আগে পিপিএলে নিবন্ধনকারী ব্যক্তিগত সহকারীরা ১০০ ডলার বোনাসের জন্য যোগ্য হবেন বলে ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া পিপিএল ব্যক্তিগত সহকারীদের প্রতিযোগিতামূলক মজুরি এবং একটি শক্তিশালী সুবিধা প্যাকেজ অফার করছে। যার মধ্যে রয়েছে বেতনভুক্ত ছুটি, ছুটির বেতন, ওভারটাইম, স্বাস্থ্যসুবিধা পরিকল্পনা এবং ৪০১(কে) প্ল্যানে অংশগ্রহণ। ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক, কিংস, কুইন্স, রিচমন্ড, নাসাউ, সাফোক এবং ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে বসবাসকারী পিএরা চিকিৎসা ও দাঁতের চিকিৎসা খরচ, ওষুধ, পরিবহন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত খরচের জন্য তহবিলসহ একটি ফ্লেক্স কার্ডও পাবেন। অর্থাৎ এটি একটি সম্পূর্ণ চাকরির সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেবে।
নিউইয়র্ক ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ মনে করছে, এই পরিবর্তন করদাতাদের বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করবে। এটি একটি সাধারণ প্রচেষ্টা, যা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে অপচয়মূলক প্রশাসনিক ব্যয় এবং মেডিকেড জালিয়াতির দিকে যাওয়া হ্রাস করবে। সেই সঙ্গে সিডিপ্যাপ গ্রাহকদের জন্য পরিষেবাগুলো রক্ষা করে। পিপিএল নিউইয়র্ক স্টেটে কাজ করবে। সিডিপ্যাপ স্টেটব্যাপী আর্থিক মধ্যস্থতাকারীর স্টেটজুড়ে আটটি অফিস থাকবে এবং ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোক নিয়োগ করেছে।
পিপিএলের প্রেসিডেন্ট মারিয়া পেরিন বলেন, আমরা এই স্থানান্তর বা ট্রানজিশনের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অতিক্রম করছি, প্রতিদিন হাজার হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন হচ্ছে। গত সপ্তাহে আমরা কোনো সমস্যা ছাড়াই সিডিপ্যাপ ব্যক্তিগত সহকারীদের জন্য আমাদের প্রথম বেতন প্রক্রিয়াকরণ করেছি। এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে গ্রাহক এবং পিএদের অব্যাহত অংশগ্রহণে সহায়তা করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।
পিপিএলের বর্তমানে ৩৮টি সুবিধা প্রদানকারী রয়েছে, যার মধ্যে ১১টি ইন্ডিপেডেন্ট সেন্টার রয়েছে, যারা ট্রানজিশন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে। এই বৈচিত্র্যময় জোটের মাধ্যমে নিউইয়র্ক একটি শক্তিশালী সিডিপ্যাপ প্রদান করবে এবং নিশ্চিত করবে যে প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত নিউইয়র্কবাসী তাদের প্রয়োজনীয় উচ্চমানের যত্ন পাবেন।
