যৌক্তিক সংস্কার তিন মাসেই করা সম্ভব। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, এটা কখনও শেষ হওয়ার বিষয় না। তাই অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের স্বার্থে দ্রুত নির্বাচন দেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন টকশোতে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি। ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংস্কার বিএনপির এজেন্ডা। ৩১ দফার মাধ্যমে বিএনপিই প্রথম সংস্কারের প্রস্তাব হাজির করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রধান সমস্যা প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রচর্চা তথা নির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ পরিচালনার সীমাবদ্ধতা। গত ১৫ বছর মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি বলেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা অনির্বাচিত ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
ঠিকানা টিভির প্রধান সম্পাদক খালেদ মুহিউদ্দীনের উপস্থাপিত টকশোটিতে অতিথি হিসেবে আরো ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার। একাত্তরের চেতনা, চব্বিশের স্পিরিট, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, যৌক্তিক সংস্কার, দ্রুত নির্বাচন এমন নানা বিষয়ে কথা বলেন তারা
আশরাফ কায়সার বলেন, অনির্বাচিত সরকার থাকলে তাকে ঘিরে ষড়যন্ত্রও থাকে। কিন্তু নির্বাচনহীনতার ঝোঁক দুর করতে সংস্কার দরকার। কিন্তু সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ঐকমত্য দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির কথায় মনে হচ্ছে তারা সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। বিএনপি সম্পর্কে এরকমই পারসেপশন তৈরি হয়েছে।
এনসিপি সম্পর্কে আশরাফ কায়সার বলেন, আর তারা নির্বাচন চায় না, সংস্কার দীর্ঘায়িত করে ক্ষমতা থেকে যেতে চায়। ইতিহাস তাদের সামনে বিরাট একটা সুযোগ হাজির করেছে। কিন্তু নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির বদলে তারা ক্যাশ বাক্সে রূপান্তরিত হচ্ছে। স্ট্যান্ডবাজি করছে, দিন দিন তারা জন সমর্থন হারাচ্ছে।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, নির্বাচনের কথা শুনলে তাদেরই গায়ে আগুন ধরছে, কেনোনা তারা জানে নির্বাচন করে তারা কখনোই ক্ষমতায় যেতে পারবে না।