ঢাকার কেরানীগঞ্জে তিনটি ফলের কার্টন থেকে ছয় টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) শাক্তা ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকায় এই খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পলিথিনে মোড়ানো একটি খণ্ডবিশেষ কুকুরকে টানাটানি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যায় এবং তাতে মানুষের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে জানালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। তবে আলামত যেন নষ্ট না হয়, সে কারণে সিআইডি এবং পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ টিম পলিথিন খুলে মানবদেহের অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করে।
নিহত ব্যক্তির নাম সবুজ। তিনি সাভার থানাধীন যাদুরচর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে। নিহতের মামা মহসিন তার লাশটি শনাক্ত করেন।
সবুজের পরিবার জানায়, নিহত সবুজ বনানীতে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) থেকে সবুজ নিখোঁজ ছিলেন। বিকেলে সাভার থানায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে নিহতের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় বসির উদ্দিন বলেন, ‘আমিসহ স্থানীয় লোকজন সড়কের পাশে একটি কার্টন দেখি। সেটি পলেথিনে মোড়ানো ছিল। খেয়াল করি, কুকুর কিছু একটা বের করে টানাটানি করছে। এরপর আমরা কুকুরের কাছে গিয়ে কার্টনের ভেতর মানুষের শরীরের অংশ দেখতে পাই।’
লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তসহ আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে এ ধরনের মানবদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে কাজ করে সিআইডি ও পিবিআই। পর্যবেক্ষণ শেষে বিশেষজ্ঞ টিম মুন্সীগঞ্জে কাজ শুরু করে।
ঠিকানা/এনআই