Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসীদের কর তথ্য আইসকে দেবে আইআরএস : বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে নতুন চুক্তি

নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসীদের কর তথ্য আইসকে দেবে আইআরএস : বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে নতুন চুক্তি



 
অভ্যন্তরীন রাজস্ব সংস্থা (আইআরএস) এখন থেকে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা (আইস) এর সঙ্গে নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসীদের কর তথ্য শেয়ার করবে যা অভিবাসন সংক্রান্ত আইন প্রয়োগে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সোমবার রাতে একটি মামলার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক আদালতে জমা দেওয়া হয়। মামলাটি দায়ের করে অভিবাসী অধিকার গ্রুপ ‘ঈবহঃৎড় ফব ঞৎধনধলধফড়ৎবং টহরফড়ং’ এবং ওসসরমৎধহঃ ঝড়ষরফধৎরঃু উঁচধমব’, যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে ‘পাবলিক সিটিজেন’ এবং আরও কিছু আইনজীবী দল।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, আইসের অনুরোধে আইআরএস এমন অভিবাসীদের কর তথ্য সরবরাহ করবে, যারা আদালতের চূড়ান্ত বহিষ্কার আদেশ পাওয়ার পরও দেশত্যাগ করেননি। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম।
আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, মার্কিন কর আইন অনুযায়ী সব ধরনের করদাতার তথ্য গোপন রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে এবং এই চুক্তি সেই গোপনীয়তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
পাবলিক সিটিজেন-এর সহ-সভাপতি লিসা গিলবার্ট বলেন, “করদাতার গোপনীয়তা মার্কিন কর ব্যবস্থার অন্যতম মূলভিত্তি। আইআরএস-এর এই সিদ্ধান্ত করদাতার গোপনীয়তা রক্ষার বহু দশকের ঐতিহ্যকে ভেঙে দিয়েছে।”
৭ এপ্রিল পর্যন্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এখনো কোনো কর তথ্য চায়নি, তবে চুক্তিতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে কীভাবে তথ্য চাওয়া যাবে এবং কোন কর্তৃপক্ষ কোন দায়িত্ব পালন করবে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে ফক্স নিউজকে জানায়, “আইআরএস এবং আইসের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে একটি সুস্পষ্ট ও নিরাপদ প্রক্রিয়া তৈরি করা হয়েছে, যাতে অবৈধ অভিবাসন রোধে আইন প্রয়োগে সহায়তা পাওয়া যায়।”
আইসকে কর তথ্য চাইতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, কোন ফেডারেল অপরাধে তদন্ত চলছে এবং কেন কর তথ্য সেই তদন্তে প্রয়োজনীতা উল্লেখ করতে হবে। ফক্স নিউজ জানায়, এই চুক্তির ফলে আইস এখন করদাতার নাম ও ঠিকানা মিলিয়ে বর্তমান অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে।
এই পদক্ষেপ মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থায় একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে অভিবাসীদের ন্যায্যতা, করদাতার অধিকার ও রাষ্ট্রীয় নজরদারি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

কমেন্ট বক্স