বহির্বিশ্বে প্রায় দুই কোটি প্রবাসীর প্রাণের দাবি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন। সুদীর্ঘকাল ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। কিন্তু কোনো সরকারই বিষয়টিতে কর্ণপাত করছে না। জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব এখন সময়ের দাবি। যৌক্তিক এই দাবির স্বপক্ষে সোচ্চার হচ্ছেন প্রবাসীরা। আগে দাবি ছিল ৩০টি সংরক্ষিত আসন। আর এখন ১০০টি আসন চাইছেন তারা। এই দাবি আদায়ে গড়ে তোলা হচ্ছে প্রেসার গ্রুপ, যারা সারা বিশ্বের প্রবাসীদের সংগঠিত করে দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখবেন।
প্রবাসীরা বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার পেছনে বড় ভূমিকা থাকলেও প্রবাসীদের হয়ে সংসদে কথা বলার কেউ নেই। রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলা হলেও তাদের দাবি-দাওয়া ও ভোগান্তি নিয়ে জাতীয় সংসদে কখনো কথা হয় না। এসব কারণেই সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি চান তারা।
প্রবাসীদের সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়ে অতীতে সব রাজনৈতিক সরকার চুপ ছিল। বরং প্রবাসীরা যাতে ভোটার হতে না পারেন এবং দেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন এজন্য দেশে কঠোর আইন করা হয়েছে। বিশেষ করে নাগরিকত্ব আইনে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখা হয়েছে। ২০১৬ সালের নাগরিকত্ব আইনে কোনা বাংলাদেশি বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে তিনি সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য বিবেচিত হবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রবাসীরা অবিলম্বে বৈষম্যমূলক এই আইন বাতিল করে জন্মসূত্রে বাংলাদেশিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনেক যোগ্য প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করছেন। তাদের রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। এসব দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তারা মাতৃভূমির কাজে লাগাতে চান। অন্তর্বর্তী সরকার অনেক প্রবাসীকে দেশে নিয়ে কাজে লাগিয়েছেন। তারা তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। একইভাবে ভবিষ্যতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকলে শুধু অভিজ্ঞতা নয়, প্রবাসীদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণি ভূমিকা পালন করবেন তারা। এই দাবি আদায়ে সারা বিশ্বে প্রবাসীরা সংগঠিত হচ্ছেন। প্রয়োজনে তারা একটি প্রেসার গ্রুপ তৈরি করে দাবি আদায়ের চাপ সৃষ্টি করবেন।
একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিনিধি নিয়ে শিগগির আত্মপ্রকাশ করবে এই প্রেসার গ্রুপ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণের।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ জানিয়েছেন, প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। অথচ তারা অবহেলিত। কিন্তু সময় এসেছে এ ব্যাপারে কথা বলার। তিনি বলেন, প্রবাসীরা নানা কারণে দেশে অবহেলিত ও বৈষম্যের শিকার। প্রবাসীরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা রাখেন। অতএব, প্রবাসীদের আর অবহেলা করা যাবেন না। ‘মিঠা কথায় আর চিড়া ভিজবে না’- উল্লেখ করেন গিয়াস আহমেদ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গত বছরের ১০ নভেম্বর রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিশ্বের বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনের চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার মির্জা জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সব প্রবাসী বাংলাদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসেবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভূমিকা রেখে আসছেন। কিন্তু এই প্রবাসীরা বরাবর নানা ধরনের অবহেলার শিকার হয়ে থাকেন। আমরা মনে করি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতনে যেমন আমরা নতুন একটি দেশ পেয়েছি, তেমনি প্রবাসীরাও দীর্ঘদিন ধরে চলমান সব বৈষম্য থেকে মুক্তি পাবে।’
এসব দাবি তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, প্রবাসীদের কোনোরকম প্রতিনিধিত্ব আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো পর্যায়ে পরিলক্ষিত হয়নি।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ঠিকানার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে দুই বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এম শাহীন দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য ৩০টি আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘প্রবাসীরা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক। দেশে প্রবাসীদের জনপ্রতিনিধি যত বাড়বে, সার্বিক মানোন্নয়নে দেশ তত দ্রুত পাল্টে যাবে। পাশাপাশি প্রবাসীদের সম্মান ও মর্যাদার ন্যায্য হিস্যা আদায় করা ততটাই সহজ হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সম্মান নিজেদেরই আদায় করে নিতে হবে।’
সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন থেকে সোচ্চার। তার উল্লেখযোগ্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রবাসীদের মধ্য থেকেই সব সময় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নিয়োগ, যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে পুনরায় বিমান ফ্লাইট চালু, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের বিশেষ মর্যাদা প্রদান এবং হয়রানি বন্ধে সার্বক্ষণিক তদারকি ও সরাসরি হটলাইন চালু, দেশে বিমান ও রেলযাত্রী হিসেবে প্রবাসীদের জন্য কোটা সংরক্ষণ, জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে দেশে দেশে ব্র্যান্ডিং করা, প্রবাসীদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, প্রবাসীদের পাসপোর্ট, জন্ম সনদ ও এনআইডি দ্রুত পাওয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, প্রবাসীদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সেল গঠন, পাওয়ার অব অ্যাটর্নির দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা নিরসন, রাজউকের হাউজিং প্রকল্পে প্রবাসীদের জন্য প্লট ও ফ্ল্যাট বরাদ্দের সংখ্যা বাড়ানো, দেশে কোনো প্রবাসী হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম নিষ্পত্তি করা, দেশে রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য স্থায়ীভাবে প্রণোদনা দেওয়া এবং প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা, প্রবাসীদের জন্য বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের প্রবাসী ব্যাংক স্থাপন করা এবং ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে প্রবাসীদের জন্য আলাদা পল্লী গড়ে তোলা, যাতে অবসরজীবনে যেসব প্রবাসী দেশে থাকতে চান এবং তারা সেখানে নিরাপদে থাকতে পারেন।
এম এম শাহীন বলেন, দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির প্রধান সোপান রেমিট্যান্স। দেশের অর্থনীতিতে এই রেমিট্যান্স অক্সিজেনের মতো ভূমিকা পালন করছে। ২০০৮ সালের বিশ্বমন্দা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সংকটমুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছিল এই রেমিট্যান্স। ২০২১-২২ সময়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতিকে নতুন এক পরীক্ষার সম্মুখীন করে। কিন্তু এই সংকটময় সময়েও দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো আঁচ লাগতে দেননি দেশপ্রেমিক প্রবাসীরা। বাংলাদেশ যতগুলো বৈশ্বিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে সেখান থেকে রক্ষা পেয়েছে। গত পাঁচ দশকে দেশের অর্থনীতিতে এই রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আজকের যে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ, এর পেছনে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রবাসীদের এসব দাবিগুলো এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর পাশাপাশি দেশে আধুনিক শিক্ষা, চিকিৎসা ও তথ্যপ্রযুক্তির জোগান দিচ্ছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো প্রবাসীরা প্রতিনিয়ত সংসার, সমাজ তথা দেশের ঘানি টেনে ক্লান্ত হয়ে একটু সুখের পরশ লাভের প্রত্যাশায় যখন দেশে ফেরেন, তখন তাদের জন্য অপেক্ষা করে সীমাহীন লাঞ্ছনা-বঞ্চনা, অবহেলা ও পদে পদে হয়রানি। বিমানবন্দর থেকে পরিবার সর্বত্রই যেন প্রবাসীদের জন্য ফাঁদ পাতা। দেশের বিমানবন্দরে কন্ট্রাক্ট বাণিজ্য, ইমিগ্রেশনে হয়রানি, লাগেজ সমস্যা, দেশের বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে হয়রানি। এত ঝক্কি পেরিয়ে বাড়ি ফিরেও নেই স্বস্তি। এলাকার মাস্তানদের চাঁদাবাজির শিকার হতে হয় প্রবাসীদের। চাঁদা না দিলে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। শারীরিকভাবেও অনেকে লাঞ্ছিত হন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করায় অনেক প্রবাসীর জমিজমা, সহায়-সম্পদও প্রভাবশালীরা এমনকি নিকটাত্মীয়রাও দখল করে বসে থাকে। এসব নিয়ে মুখ খুললে সংশ্লিষ্ট প্রবাসীর ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের খড়গ। শুধু তা-ই নয়, এ নিয়ে হামলা-মামলারও শিকার হন প্রবাসীরা। ভয়ে বিচার চাইতেও পারেন না। প্রবাসীকে এমনভাবে হয়রানি করা হয়, যাতে তিনি সব ছেড়ে দেশ থেকে আবার প্রবাসে ফিরে যেতে বাধ্য হন। এমন অনেক ঘটনাও আছে, সম্পত্তির দখল বুঝে পাওয়া তো দূরের কথা, কেবল প্রাণ নিয়ে অনেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দরে এসে বিদেশে ফিরে এসে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এসবের অবসান হওয়া দরকার। আর এসব কারণেই প্রবাসীদের পক্ষে কথা বলতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক।
নিউইয়র্ক প্রবাসী ও সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুজ্জামান খোকন ঠিকানাকে বলেন, অন্যদেশের নাগরিকত্ব নিলে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা যায় না। এই আইনের পরিবর্তন দরকার। তিনি বলেন, অনেক যোগ্য প্রবাসী রয়েছেন বাংলাদেশে গিয়ে মানুষের সেবা করতে চান। কিন্তু আইনের প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা সে সুযোগটা পাচ্ছেন না। তবে যারা বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিতে চান তাদের উচিত সেখানকার মাটি ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা।
এম এম শাহীন বলেন, তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে শুধুমাত্র প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। তার কারণেই নিউইয়র্ক-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হয়েছিল। সোনালী এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পেছনে তার রয়েছে বিশালং অবদান। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমার মত ১০০ সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদে থাকলে সারা বিশ্বের প্রবাসীদের অধিকার আদায় হতো। বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ হতো।’
সংসদে প্রবাসীদের জন্য আসন সংরক্ষণ নিয়ে রিট : জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক সংরক্ষিত আসনের দাবিতে দুইজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর করা রিটের নিষ্পত্তি হয়নি এখনো।
আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারভেজ নামের ওই দুইজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব বরাবর একটি আবেদনপত্র দেন। তাতে ‘প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রবাসীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ করাসহ জাতীয় সংসদে প্রবাসীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক আসন সংরক্ষণের’ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়।
ওই আবেদন করার পর ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর রিটটি করা হয়। ওই রিটে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন রয়েছে। প্রবাসীদের জন্য এমন সংরক্ষিত আসন রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব বরাবর আবেদনটি দেওয়া হয়েছিল।
নিজেদের ‘আমেরিকাপ্রবাসী’ ও দেশের ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ উল্লেখ করে রিটের আবেদনে আবুল কালাম আজাদ ও এস এম রফিকুল পারভেজ বলেন, প্রায় দুই কোটি প্রবাসী বাংলাদেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো সমান সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন না। প্রবাসীদের জন্য সংসদের আসন সংরক্ষণ না করাকে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করেন ওই দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। তাদের আবেদনে আরো বলা হয়, বৈষম্যমূলক আচরণ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। প্রবাসী ভাইবোনেরা সমান অধিকার ভোগ করতে পারছেন না। তাঁরা দেশে-বিদেশে বহুবিধ সমস্যায় জর্জরিত। প্রবাসীদের কথা বলার জন্য সংসদে কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই প্রবাসীদের জন্য সংসদে আসন সংরক্ষণ সময়ের দাবি।