ছায়ায় ঘেরা মায়ায় ভরা তোমার গৃহখানি,
উঠানজুড়ে ফুলের শোভা দাঁড় করাল আনি।
বসে আছ পড়ার ঘরে,
দেখি তোমায় নয়ন ভরে;
উদাস তুমি ভাবছিলে কী বিধিই শুধু জানে?
মুগ্ধ আমি চেয়েছিলাম তোমার মুখপানে।
প্রজাপতি মনখানা বেশ উঠল আমার দুলে,
হঠাৎ যেন ভিড়ল তরী তোমার নদীকূলে!
তাকিয়ে থাকি লজ্জা ভুলে,
হয় শিহরণ প্রাণের মূলে;
তুমি কিছুই জানতে না তা বলতেছি আজ খুলে,
ছিলে তুমি ভাবনা ঘোরে চাওনি মুখ তুলে।
অফিস শেষে বিকেলবেলা কোন সে মায়ার টানে?
ঘুরিফিরি একলা আমি তাকাই ওদিক পানে।
দেখা হবে এই অছিলায়,
পাগল আমি রোজ ঘুরে যায়;
হয় না দেখা তোমার সাথে ভাবছি কী যে করি?
প্লেন আঁটলাম ঢুকতে হবে বাঁচি কিংবা মরি।
ঢুকতে যাব বাড়ির ভেতর অমনি তুমি এসে,
বললে আমায় কাকে খোঁজেন? মুখ বাঁকানো হেসে!
আমি তখন এমনি মরা,
ভাবছি বুঝি খেলাম ধরা?
রূপসাগরে মজে আমি স্বপ্নে দিলাম পাড়ি,
বললাম আমি জল তেষ্টা জল কি পেতে পারি?
এরপরে তো আমরা দুজন গেলাম স্রোতে ভেসে,
আজ তুমি নেই স্মৃতিগুলো কাঁদায় ফিরে এসে!
ভালো থেকো যেথায় থাকো,
চাই না অতীত মনে রাখো;
কষ্টগুলো যতই দাঁড়াক রোজ আমাকে ঘেঁষে,
থাকো তুমি ভালোবাসায় অন্তরের এই দেশে।