ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইরান একযোগে হাইফা ও তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় মেডিক ও সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, এসব হামলায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এই হামলার আগে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের বিভিন্ন বেসামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায়। এ বোমার আঘাতে ইরানের রাজধানী তেহরানের শেহরান এলাকায় একটি তেল পরিশোধনাগারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরানের ‘পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট’ বিভিন্ন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, গত দুই দিনে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৮০০ জন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষষ্ঠ দফা পারমাণবিক আলোচনা বাতিল করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনের মধ্যে আলোচনার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।”
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং ইসলামিক রেভ্যূলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।
ঠিকানা/এসআর