বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এখনও সরকারের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় কমিশন সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নিতে পারছে না।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও ফেব্রুয়ারিতে ভোট নিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে এখনও নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কোন সবুজ সংকেত দেয়নি সরকার। ফলে নির্বাচন কমিশন এখন সরকারের দিকেই তাকিয়ে আছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ১৫ জুন (রবিবার) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, “ভোটের তারিখ নির্ধারণে সরকারের কাছ থেকে কোনো ক্লিয়ারেন্স পায়নি ইসি। কখন ভোট হবে সেটা সরকারের বিষয়। তাই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। তবে জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক ইসি নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ডিডাব্লিউকে বলেন, “আমরা নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটের তারিখ ঘোষণা করবে সরকার। ফেব্রুয়ারিতে যদি ভোট হয় তাহলে এর মধ্যে যে সময় আছে তাতে আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। আসলে বিষয়টা হলো, সরকার আন্তরিক হলে যে কোন সময়ই ভোট হতে পারে। প্রস্তুতিতে সমস্যা হবে না। আর আন্তরিক না হলে তো অন্য কথা।”
তবে নির্বাচনের পরিবেশ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও শঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে, এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিও রয়েছে। বিএনপিসহ অন্য বেশকিছু দল জাতীয় নির্বাচনই আগে অনুষ্ঠানের পক্ষে। এ ইস্যুর সমাধান এখনও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা পর্যায়েই রয়েছে, সমাধান হয়নি।
এর ফলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এমন আশঙ্কা টের পাওয়া যাচ্ছে মাছউদের কথাতেও। তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হলে এর আগে আমাদের পক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে দু’একটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব। এর বেশি না। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।”
আটকে আছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ বর্তমানে আটকে রয়েছে। ভোট আয়োজনের জন্য অপরিহার্য এমন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন আরপিও সংশোধন, নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন। আরও আছে, রাজনৈতিক দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ, ভোটার তালিকা আইন সংশোধন, নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ এবং পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন কার্যক্রম।
তবে যেসব কাজের সঙ্গে সংস্কার ও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই, সে কাজগুলোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ইসি। এরই অংশ হিসাবে ভোটগ্রহণের কাজে ব্যবহৃত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, গানি ব্যাগ, লাল গালাসহ ভোটগ্রহণের মালামাল সংগ্রহের কাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচনি বিভিন্ন ফরম ও প্যাকেট ছাপার প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, “আমরা তো প্রতিদিনই ভোটের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ করছি। ফলে সরকারের কাছ থেকে সিগন্যাল পাওয়ার পর বাকি কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করে ফেলা হবে।”
আইন সংশোধন না হলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ বঞ্চিতদের ভোটের সুযোগ দিতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে কমিশন।
২৬ মে পর্যন্ত হালনাগাদে ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৫ জন নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি। একই সময়ে ভোটার তালিকায় থাকা ২১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৪ জন মৃতের তথ্য পেয়েছে কমিশন। মৃতদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুনদের নাম যুক্ত করে বছরের যে কোনো সময়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার লক্ষ্যে ভোটার তালিকা আইনের সংশোধনীর খসড়া তৈরি করে ইসি। ওই প্রস্তাবে বছরের যেকোনো সময়ে খসড়া ও চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশের বিধান যুক্ত করে কমিশন। কিন্তু সেটা অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে এখনো পাঠায়নি।
সর্বশেষ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখন দেশে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।
২০ লাখ নতুন ভোটারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতা
বিদ্যমান আইনে প্রতিবছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করার নিয়ম রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ভোট করতে হলে এই আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন হবে। অন্যথায় তালিকায় যুক্ত হওয়া নতুন ভোটাররা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২০ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার কথা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, “তফসিলের আগে ১৮ বছর যাদের হয়ে যাবে তাদের সবাই ভোট দিতে পারবে এমন উদ্যোগ নেবে কমিশন। এছাড়া ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাদের ভোটে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে জানুয়ারির আগে তফসিল চায় না ইসি।”
ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে হলে এই ২০ লাখ ভোটারকে কি যুক্ত করা সম্ভব হবে? জানতে চাইলে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমেক্রেসির (আরএফইডি) সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের রাজনীতি ও নির্বাচন কমিশন বিষয়ক সম্পাদক সাইদুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে ভোট করতে হলে নতুন ২০ লাখ ভোটারকে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা কঠিন হবে নির্বাচন কমিশনের। কারণ এই ২০ লাখ ভোটার ২ জানুয়ারি ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। নির্বাচনের জন্য ৫০-৫৫ দিন সময় দিতে গেলে ডিসেম্বরে তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তবে ইসি চাইলে ২ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করতে পারে। সেক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচনের জন্য ৪০ থেকে ৪৩ দিন সময় পাওয়া যাবে।’
তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম মনে করেন, ২ জানুয়ারি যারা ভোটার হিসেবে যোগ্য হবেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করা কঠিন।
ডয়চে ভেলেকে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটার হওয়ার দুই ধরনের নিয়ম রয়েছে। প্রথমত বছরের প্রতিটি দিনই ভোটার হওয়া যায়। কেউ ভোটের জন্য যোগ্য হলে নির্বাচন কমিশনের যে কোন অফিসে গিয়ে আবেদন করে ভোটার হতে পারেন। আরেকটা নিয়ম হলো নির্বাচন কমিশন প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য তাদের ভোটার করবে।’
সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এখনকার নিয়ম অনুযায়ী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। আর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে। ফলে ফেব্রুয়ারি ভোট করতে হলে এদেরকে ভোটার করা যাবে না। এ বছর হালনাগাদ যে তালিকাটি করা হয়েছে সেটা ধরেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা যাবে না। এখন আইন সংশোধন হলে অনেক কিছুই হতে পারে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাত করার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের অনেকেই রয়েছেন নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিতে। দলটির মূল সমর্থকদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ-যুবক। ফলে প্রায় ২০ লাখ তরুণকে ভোটের বাইরে রেখে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে এনসিপি।
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘যে তরুণরা দেশে পরিবর্তন এনেছে তাদের বাদ দিয়ে আপনি কীভাবে ভোট করবেন? সরকার যদি বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য জুলাই শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে তখন আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেবো।’
মনিরা শারমিন আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের কার্যক্রমকে সন্দেহের চোখে দেখছি। বিদেশের মাটিতে বসে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হচ্ছে। অথচ সংস্কার, বিচার নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। আমরা এখনও বলছি, এই নির্বাচন কমিশন এত বড় নির্বাচনের জন্য সক্ষম কিনা সেটা দেখার জন্য হলেও আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রয়োজন। পাশাপাশি জুলাই সনদ এখন ঘোষণা করা হয়নি। জুলাই সনদ ঘোষণার পর গণপরিষদের নির্বাচনের দাবিও আমাদের।’
এর আগে সম্প্রতি আদালতের রায়ে নিবন্ধন ফিরে পাওয়া দল জামায়াতে ইসলামীও লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠকে নির্বাচনের তারিখের নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়া নিয়ে অস্বস্তির কথা জানিয়েছে।
ঝুলে আছে আরপিও সংশোধন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ (আরপিও)। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিধিমালাগুলো হচ্ছে, ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা’ ও ‘নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা’।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদের নেতৃত্বাধীন আইন সংস্কার সংক্রান্ত কমিটির আরপিও সংশোধনের খসড়া তৈরি করেছে। ওই খসড়া অনুমোদনের জন্য এখনো কমিশন সভায় তোলা হয়নি। তবে আরপিও সংশোধনের আগেই ‘সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার খসড়া সংশোধনী গত ২১ মে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় তোলা হয়। এতে আরপিও সংশোধনীর পর আচরণ বিধিমালার সংশোধনী অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিও সংশোধন করার সিদ্ধান্ত রয়েছে কমিশনের। আরপিও সংশোধনের আলোকে নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণ বিধিমালায় সংশোধন আনা হবে।
কিন্তু এখনও আরপিও সংশোধনী কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘আরপিও কীভাবে সংশোধন হবে, কতটুকু হবে তা তো আমরা করে দিয়েছি। এখনও কেন এটা করা হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মনে করি, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা থাকলে সামনে যে সময়টুকু আছে তার মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা
প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা (ডিসি), আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণ (প্রিসাইডিং, সহকারি প্রিসাইডিং ও পোলিং) কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হয় নির্বাচন কমিশনের। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত করেনি ইসি।
নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) একাধিক কর্মকর্তা জানান, তারা একটি খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। এই পরিকল্পনা কমিশনে তোলা হবে। তারা আরও জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রশিক্ষণ দিতে চার মাসের বেশি সময় লেগেছিল। এবার প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা অনুমোদনের পর প্রায় একই সময় লাগবে।
তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, “ঘুরে দাঁড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। এখনই পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেছে এমনটি না বলা গেলেও অনেক উন্নতি হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্বাচনের আগে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে।”
এবার পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে, এমন নিশ্চয়তা দিয়ে আইজিপি বলেন, “শিগগিরই আমরা এই কাজ শুরু করবো।”
ঠিকানা/এসআর