আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে গুম বিষয়ক আইন করা হবে। তিনি বলেন, আগামী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসের আগেই অনেকগুলো ভালো আইন দৃশ্যমান করা হবে।
আজ ১৬ জুন (সোমবার) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনের বিস্তারিত তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, গুম বিষয়ক আইনের আওতায় একটি শক্ত গুম কমিশন হবে। সেখানে টেকনোলজিক্যাল সাপোর্টসহ বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা করবে জাতিসংঘের গুম বিষয়ক কমিশন। তবে, অবশ্যই আর্থিক সহায়তা নেওয়া হবে না।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, নতুন আইনের আওতায় গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের জন্য নিখোঁজ সনদ দেবে সরকার। এর আওতায় গুম হওয়া পরিবার তাদের অভিযোগ জানানোসহ যেকোনো তথ্য জানাতে হবে।
এর আগে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে গ্রাজিনা বারানোউস্কার নেতৃত্বে জাতিসংঘের বলপ্রয়োগে বা অনিচ্ছাকৃতভাবে গুম সম্পর্কিত কার্যনির্বাহী দল বৈঠক করে।
বৈঠকে গুম হওয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার তাগিদ দেন জাতিসংঘের গুম সংক্রান্ত কমিটি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, গুম হওয়া ব্যক্তির পরিবারের জন্য নিখোঁজ সনদ দেবে সরকার, যা দিয়ে সন্তানরা অফিসিয়াল কাজ করতে পারবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতিসংঘের গুম বিষয়ক কমিশন, বর্তমান গুম কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এই গুম কমিশন আজ থেকে ১২ বছর আগে বাংলাদেশে আসতে চাইলেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আসতে দেয়নি। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে সরকারি কর্মচারী আইন পুর্নবিবেচনার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান আইন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, শুধু একটা বিষয় আমি বলতে পারি- সরকার কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে আইন করা না হলেও কোনও কোনও আইনের মধ্যে এমন বিধান থাকতে পারে, এই আইনের যারা সাবজেক্ট তাদের কাছে মনে হতে পারে তারা বিড়ম্বনা বা হয়রানির শিকার হতে পারেন। আমরা স্বীকার করি- এ রকম সম্ভাবনা এই আইনের মধ্যে থাকতে পারে। এটি মূলত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন, আমরা শুধু গেজেট নোটিফিকেশন করেছি।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের গুম বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ চার দিনের সফরে ঢাকা সফর করছেন।
ঠিকানা/এসআর