Thikana News
১৯ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ ছবি সংগৃহীত



 
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুল ওরফে মো. শাকিল আলমের বিরুদ্ধে হওয়া আদালত অবমাননার মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন।

পরে প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আজ এ মামলার চূড়ান্ত শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আগামী ২৫ জুন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে গত ৩০ এপ্রিল তাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা চান ট্রাইব্যুনাল। তাদের হাজির হয়ে বা আইনজীবীর মাধ্যমে কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল। ২৫ মে তারা হাজির হননি কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। পরে দুই আসামিকে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর পরও তারা হাজির হননি।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সারা দেশে ২২৬টি মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেছেন, যারা মামলা করেছে, তাদের মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি। এদের বাড়িঘর ভাঙচুরের জন্য নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও হুমকি দেন। কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এরা দুজন (শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ) সাক্ষীদের ভয়–ভীতি দেখিয়েছেন। বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, শেখ হাসিনার অডিও সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে সিআইডি মতামত দেয়, এই কথোপকথনটি শেখ হাসিনা ও মো. শাকিল আহমেদের মধ্যেই হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি করে আদালত অবমাননার নোটিশ ইস্যু করেছেন।

ঠিকানা/এনআই

কমেন্ট বক্স