প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য ৯টি দেশ থেকে মোট ৪৮ হাজার ৮০টি আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৬৪৬ জনের বায়োমেট্রিকস এরইমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৫ জুলাই (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, 'আমরা সম্প্রতি পাঁচটি নতুন দেশে—যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান ও মালদ্বীপে—এনআইডি নিয়ে কাজ করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়েছি। এই পাঁচ দেশে প্রাথমিক কাজ ইতোমধ্যে করা হয়েছে।'
৯ জুলাই, নির্বাচন কমিশন (ইসি) পাঁচটি অতিরিক্ত দেশে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন শুরু করার অনুমোদন পেয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম ৪০টি দেশে সম্প্রসারণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় ১৬টি কেন্দ্রে নিবন্ধন চলছে।
জাপান দশম দেশ হিসেবে যুক্ত হবে এবং প্রক্রিয়াটি জুলাইয়ের মধ্যেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
মধ্য জুলাইয়ে কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে পাবলিক আইপি অ্যাক্সেস পেতে দেরি হওয়ায় কিছুটা দেরিতে এই কাজ শুরু হয়েছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, 'আমরা জানিয়েছিলাম জাপানে ১৫ তারিখ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। কিন্তু, সেখানকার একটি টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে তথা পাবলিক আইপির অনুমতি পেতে একটু সময় লাগছে। যদিও সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন রয়েছে।'
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধনের খরচ সম্পর্কে জানতে চাইলে এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, 'এটা এক্স্যাক্টলি আমি জানি না। কারণ, এটা প্রজেক্ট থেকে হয়। খরচটা এনআইডি উইং থেকে হয় না।'
এই প্রকল্পটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে চলছে বলেও জানান তিনি।
হালনাগাদ ভোটার তালিকা কবে প্রকাশ হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, 'সম্ভবত খুব শিগগির হয়ে যাবে। এই সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহ লাগতে পারে।'
২০১৯ সালে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন বিদেশে এনআইডি দেওয়ার প্রকল্প শুরু করে। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম অনলাইন নিবন্ধন চালু হয়।
ঠিকানা/এএস