রাতের আকাশ যেন তারার হাজারো বুটির চাদর,
মাগো তোমায় দেখি না যেন লক্ষ কোটি বছর।
ঘুম না এলে মাগো তুমি বুলোতে মাথায় হাত,
ঘুমে ঢুলু হয়েও মাগো এখন জেগে থাকি সারা রাত।
মুখে তুলে খাওয়াতে মাগো কত দিন, কত রাত,
বাসন-কোসন ধুতে ধুতে মা ভীষণ খসখসে হাত।
ভাত খাব মা বলার আগেই হাজির হতো খাবার,
কাজের শেষে খালি পেটে মা রান্না করি আবার।
রান্নাঘরে গেলে তুমি বলতে ‘যা ভাগ’
যখন তখন খেতাম যে চা করতে না কোনো রাগ।
বৃষ্টি হলেই মাগো তুমি রাঁধতে খিচুড়ি-ইলিশ,
চোখের বৃষ্টি থামে না যে মা কত আর ভেজাব বালিশ।
রাতের বেলায় হলে যে দেরি দিতে বেজায় বকুনি,
হাসি আমার দেখলেই তোমার রাগ হতো পানি।
আমায় কেউ বকলে মাগো করতে মুখ ভার,
এত ভালো কেন ছিলে মা, কেন দিতে না মার?
বিদেশ বিদেশ করে মাগো খেয়েছি তোমার মাথা,
কেন শুনলে মাগো তুমি ছেলের সব কথা।
জমিজমা বিক্রি করে ডলার টিকিট দিলে,
ইচ্ছে হয় সব ছেড়ে মাগো ঘুমাই তোমার কোলে।
ফোনে তোমায় বলি আমি আছি অনেক সুখে,
তা না হলে তোমার আবার থাকবে না হাসি মুখে।
তোমায় নিয়ে মাগো আমার লক্ষ সুখের স্মৃতি,
চাই না মা তোমার হাতে পড়ুক এই চিঠি।