রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশ নিয়ে গুরুতর কিছু প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান। ১৮ জুলাই (শুক্রবার) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এই প্রশ্নগুলো তোলেন তিনি।
পোস্টে শফিউর রহমান লেখেন, বর্তমানে মোট ভোটার +-১২ কোটি। জমায়াতের জনসমর্থন ১৫-২৫% হলে জামায়াতের মোট ভোটার ১.৮০ কোটি থেকে ৩.০ কোটি। জামায়াতের মোট ভোটারের ১০%+ রাজনীতিতে সক্রিয় নেতা কর্মী মানে মিনিমাম ১৫ লাখ প্লাস সক্রিয় নেতাকর্মী। উনাদের সবাইকে ঢাকায় আনা হচ্ছে ১৯ জুলাই ২০২৫।
তিনি আরও লেখেন, জনপ্রতি ১০০০ টাকা খরচ হলেও ১৫ লাখ মানুষের খরচ= ১৫,০০,০০০×১০০০= ১৫০,০০,০০,০০০/-(১৫০ কোটি টাকা)। এত টাকা খরচ করে (জামায়াতের নেতাকর্মীদের পকেটের টাকা খরচ মানে জামায়াতেরই খরচ) এই প্রোগ্রামের এচিভমেন্ট কি?
শফিউর রহমান আরও লেখেন, জামায়াতের এই হিউজ শক্তি জানান দেওয়াকে ভারত, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কীভাবে রিড করবে? চীন কীভাবে দেখবে? ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে ক্ষমতার দাবিদার শক্তিশালী জামায়াতে ইসলামীকে কীভাবে ট্রিট করা হবে? বিএনপি এবং বাংলাদেশের ডিপ স্টেট বিষয়টিকে কতটা থ্রেট হিসেবে ক্যালকুলেট করবে। কাউন্টার হিসেবে তারা কী পদক্ষেপ নেবে? বাংলাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা জামায়াতকে মানতে কতটা প্রস্তুত? প্রস্তুত না হলে তারা ভু-রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে ভারত ও আমেরিকার সাথে জামায়াত ঠেকাইতে কোন ধরনের ডিলে যাবে? সেই ডিলকে কাউন্টার করার মতো কতটুকু আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক যোগাযোগ জামায়াতের আছে? জামায়াতের আন্তর্জাতিক এলাই কে? আদৌ কোনো এলাই আছে কি না?
ঠিকানা/এসআর