নারী অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ফিরতি দেখায় অবশ্য তা ছাপিয়ে যেতে পারেনি। তবে ব্যবধানটা বড়ই থেকেছে। পিটার বাটলারের দল মাঠ ছেড়েছে ৫-০ গোলে জয়ের তৃপ্তি নিয়ে। জোড়া গোল করেন পূজা দাস। এই জয়ে শিরোপার আরও কাছে চলে গেল বাংলাদেশ। আগামী সোমবার শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে শুধু ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন হবেন আফঈদা-স্বপ্নারা।
বসুন্ধরা অনুশীলন মাঠে শনিবার (১৯ জুলাই) ম্যাচের দশম মিনিটে তৃষ্ণার শট ঠেকিয়ে দেন শ্রীলঙ্কান গোলরক্ষক থারুশিকা দোদামগোদাগে। এরপর কয়েকটি কর্নার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৫ মিনিটে অবশেষে ডেডলক ভাঙেন কানন রানী বাহাদুর। ঐশী খাতুনের পাসে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ে তার মাটি কামড়ানো শট আটকানোর সুযোগই পাননি থারুশিকা।
৩৭ মিনিটে জটলার মধ্য থেকে সুরমা জান্নাতের দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দী করেন থারুশিকা। পরের মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সুরমার দূরপাল্লার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পূজা দাস। এর আগে তৃষ্ণার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান পূজা।
বিরতির পর শ্রীলঙ্কাকে আরও চেপে ধরার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার, উমেহলা মারমা। কিন্তু আক্রমণে ছিল না সেই জোর। ৭১ মিনিটে স্বপ্নার দূরপাল্লার শট সহজেই তালুবন্দী করেন থারুশিকা। ৭৩ মিনিটে পূজার অসাধারণ এক গোলে ব্যবধান ৩-০ হয়। বক্সের বাইরে থেকে তার দূরপাল্লার শট ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন থারুশিকা। কিন্তু জালে যাওয়া থেকে আটকাতে পারেননি। ৮৬ মিনিটে স্বপ্না রানীর পাস থেকে চতুর্থ গোলটি করেন তৃষ্ণা। এর ঠিক পরই অসুস্থ হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন থারুশিকা। বদলি হিসেবে নামা ইদুশা গামাগে যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে আটকাতে পারেননি আফঈদার পেনাল্টি। বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে ৫ গোলের জয় নিয়ে।
আপাতত ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেপাল। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ৩-২ গোলে হেরেছে তারা। যার ফলে নেপালের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনাল হয়ে থাকল। বাংলাদেশ যেকোনো ব্যবধানে হারলে শিরোপা যাবে নেপালের ঘরে। কারণ গোল ব্যবধানে বাংলাদেশের চেয়ে (২০) এগিয়ে আছে নেপাল (২৬)।
ঠিকানা/এনআই