Thikana News
২৪ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

কাঁদছে বাংলাদেশ

কাঁদছে বাংলাদেশ
শোক আর দুঃখের সাগরে ভাসছে পুরো দেশ। নিরপরাধ অবুঝ শিশু শিক্ষার্থীদের অকালমৃত্যুর যন্ত্রণা যেন মা-বাবা আর স্বজনদের ছাড়িয়ে সংক্রমণ করেছে পুরো দেশের মানুষকে। একেকটি পোড়া দেহের যন্ত্রণা যেন শ্রেণি-পেশা, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব মানুষকে কুরে কুরে খাচ্ছে। কেউই এ ধরনের মর্মান্তিক, অমানবিক ও করুণ মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না। শুধু মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজই নয়, গোটা দেশটা যেন নির্বাক, শোকে ম্রিয়মাণ হয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিশুদের মৃত্যু আর দগ্ধ শিশুদের যন্ত্রণার কষ্ট সইতে না পেরে কাঁদছে পুরো বাংলাদেশ।
২২ জুলাই মঙ্গলবার দিনভর মাইলস্টোন স্কুল কিংবা হাসপাতালে প্রতিবাদী ছাত্র-অভিভাবকদের যতটা না বিক্ষুব্ধ দেখা গেছে, তার চেয়েও বেশি ক্ষোভে-দ্রোহে প্রতিবাদমুখর ছিলেন অন্যরাও। রাজধানী ছাড়িয়ে প্রতিবাদ, ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক অভিভাবক এখনো তাদের প্রিয় সন্তানের হদিস পাননি। অনেকে হতবিহ্বল হয়ে খুঁজেছেন প্রিয় সোনা-মানিককে। অনেকের সন্তান হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তারা আগুনে পোড়ার অসহ্য ব্যথায় কাতরাচ্ছে। মঙ্গলবারও জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে না-ফেরার দেশে চলে গেছে আরও অন্তত ১১ জন। সব মিলিয়ে সরকারি হিসাবেই মোট ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে। যদিও আরও অনেক শিক্ষার্থী নিখোঁজ থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬৫ জন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় ২১ জুলাই সোমবার বেলা সোয়া ১টায়। ক্লাস ছুটির পর বাড়ি ফেরার অপেক্ষা কোমলমতি খুদে শিক্ষার্থীদের। বাইরে ছিলেন অভিভাবকেরা। আবার কোনো কোনো শিক্ষার্থী প্রস্তুতি নিচ্ছিল কোচিংয়ে বসার। অন্যান্য দিনের মতোই কোলাহলপূর্ণ ছিল রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। হঠাৎ প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক ভবনে আকাশ থেকে আছড়ে পড়ল বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। বিদ্যুৎগতিতে ঢুকে পড়ল জুনিয়র শিক্ষার্থীদের ক্লাসভবনে। বিস্ফোরিত হলো বিমানটি। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠল পুরো এলাকা। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল আগুনের লেলিহান শিখা। ওই আগুনে ঝলসে যায় বিপুলসংখ্যক কোমলমতি শিক্ষার্থীর দেহ। পুড়ে অঙ্গার হয়েছে কেউ কেউ। ভবনের ভেতরে পড়েছিল অনেকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এরপর হতাহতদের নিয়ে ছুটেছে সবাই রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে। এ খবর নিমেষেই ছড়িয়ে পড়ল সারা দেশে। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি কেউ। শুধু অভিভাবক ও শিশুদের স্বজন নয়, কান্নার রোল পড়ে ঘরে ঘরে। স্কুল প্রাঙ্গণ ও হাসপাতালগুলোতে হতাহতের স্বজনের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাগণ, প্রধান বিচারপতি শোক জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা শোক জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ জাতিসংঘ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে মঙ্গলবার শোক পালন করা হয়।
এদিকে শোকার্ত পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার সরকারের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন। ওই সময় ছাত্ররা ছয় দফা দাবি তুলে ধরে। পরে তা মানা হলেও উপদেষ্টা ও প্রেস সচিবকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। অবশেষে ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর তাদের পুলিশ প্রহরায় বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা পেছানো নিয়ে আনারিপনার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে সচিবালয় ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে গেট ভেঙে তারা ভেতরে প্রবেশ করে এবং শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষাসচিবের পদত্যাগ দাবি করে। এ নিয়ে পুরো সচিবালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। শিক্ষাসচিবকে প্রত্যাহার করা হলেও নেভেনি ক্ষোভের আগুন। দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় অন্তত ৭৫ শিক্ষার্থী আহত হয়।
নিহতদের পরিচয় : নিহতদের মধ্য থেকে বার্ন ইনস্টিটিউট থেকে ১০, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১, সিএমএইচ থেকে ১৬, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টার থেকে ২, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে ১ এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া নিহত এই ১১ জনের মধ্যে নয়জনই ছাত্র। তাদের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর। অপর দুজনের মধ্যে একজন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সমন্বয়ক। তার নাম মাহেরীন চৌধুরী। নিহত মাসুকা একজন শিক্ষিকা। ৩৭ বছর বয়সী মাসুকার শরীরের ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল।
আহতরা কোথায় : বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৮, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচএস) ২৮, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ১৩, উত্তরা আধুনিক হাসপতালে ৬০, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১, ইউনাইটেড হাসপাতালে ২ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
কী ঘটেছিল বিমানটিতে : কী ঘটেছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান ‘এফ-৭ বিজিআই’-এ। স্মরণকালের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এমন প্রশ্নই এখন সামনে চলে এসেছে। আন্তবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে কুর্মিটোলার বিমানবাহিনীর এ কে খন্দকার ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। এ দুর্ঘটনা মোকাবিলায় এবং বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বিমানের বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম বিমানটিকে ঘনবসতি থেকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল এবং কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।
জানা যায়, সাধারণত ট্রেনিং ফ্লাইটগুলো জনবসতি থেকে দূরে পরিচালিত হয়। তবে সৌল ফ্লাইট ট্রেনিং অনেক সময় শহরের আকাশপথেই সম্পন্ন হয়, যেটির জন্য প্রয়োজন হয় উচ্চমাত্রার দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস। তৌকির ছিলেন এমন একজন কোয়ালিফায়েড পাইলট। উড্ডয়নের পর তিনি উত্তরা, দিয়াবাড়ি, বাড্ডা, হাতিরঝিল ও রামপুরা এলাকা হয়ে উড়ছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বিমানে কারিগরি সমস্যার আভাস পান এবং কন্ট্রোল রুমে জানান, বিমানটি নিচের দিকে নামছে ও স্বাভাবিক ভেসে থাকার ক্ষমতা হারাচ্ছে বলে বার্তা দেন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোল রুম থেকে তাকে ইজেক্ট (জরুরি অবস্থায় পাইলটের সিট খুলে তাকে বের করে দেওয়া) করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তৌকির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিমানটি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তিনি সর্বোচ্চ গতিতে বিমানটিকে ঘুরিয়ে এয়ারবেসের দিকে ফেরার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে হঠাৎ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাত্র এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হয়।
২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর : রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
নিহতদের ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি : রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটি তদন্তে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ৫ কোটি টাকা এবং আহতদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্রে অভিভাবকের মোবাইল নম্বর ও রক্তের গ্রুপ সংযুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির : রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাইলট তৌকিরকে একনজর দেখতে তাদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারী ভিড় করেন।
বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শিক্ষিকা মাহেরীন : রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করা সাহসী ও মানবিক শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরীকে শায়িত করা হলো বাবা-মায়ের কবরের পাশে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মরহুমার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
শোকে স্তব্ধ মাইলস্টোন : শোক, ক্ষোভ, অবরোধ ও উত্তেজনা ছিল দিনভর। উত্তরার দিয়াবড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মঙ্গলবার ছিল নিঃশব্দ এক মৃত্যুপুরী। শোকে স্তব্ধ, মুহ্যমান। অনেক অভিভাবককে দেখা গেছে, নির্বাক নিস্তব্ধ। প্রতিদিন এই সময়ে থাকত কোলাহল আর পড়ার শব্দে মুখর। এদিন ক্লাসরুমগুলো খালি-সুনসান। ভবনের করিডরে নেই কোলাহল-শিক্ষার্থীদের ছোটাছুটি। বাতাসে ভাসছে পোড়া গন্ধ, পুড়েছে শরীর কিংবা কারও স্বপ্ন! এদিনও চলে স্বজনের মরদেহের সন্ধান। যারা এখানো নিখোঁজ তাদের ছুটতে দেখা গেছে এদিক-সেদিক। মিডিয়ার কাউকে পেলেই ছবি দেখিয়ে জানতে চায়-তার কোনো খোঁজ আছে? সহপাঠী-সহকর্মীদের জীবনে এমন চরম বিয়োগান্ত দশা নেমে আসবে, এমনটি ছিল তাদের কল্পনাতীত। যারা পুড়ে মরেছে, আর যারা প্রাণে বেঁচেছেÑতাদের স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের একটাই প্রশ্ন-কেন এভাবে তাদের মরতে হলো?

কমেন্ট বক্স