প্রায় ৩ শতাধিক কুলাউড়া উপজেলাবাসীর উপস্থিতিতে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরদের সহ প্রায় ৬০টি পরিবার অংশগ্রহণ করেন এই বনভোজন ও মিলনমেলায়।

স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে আনন্দ আর বিনোদনের মুখরিত হয় প্যরিসের ঐতিহ্যবাহী লা-কর্নোভ পার্ক এযেন রূপান্তরিত হয় প্যারিসের বুকের জন্য এক খণ্ড কুলাউড়া।
ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত কুলাউড়া উপজেলাবাসী শেকড়ের টানে ছুঁটে আসেন এই মিলনমেলায় প্রথমে সবাই একে অন্যের সাথে কৌশল বিনিময় করেন এবং একে অন্যের খুঁজ খবর নেন এবং আনন্দ মুখরিত ভালোবাসা আর সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উদযাপিত হয় বনভোজন ও মিলনমেলা। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৮টায় সমাপ্তি হয়। বিভিন্ন রকম আনন্দ ও বিনোদমূলক আয়োজনে অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত জাকজমক এবং আনন্দে ভরপুর ছিল। কুলাউড়া উপজেলা বাসীর পরিবার ছাড়াও কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পরিবার পরিজন, শিশুকিশোর এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ করেন।

কুলাউড়া উপজেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’ ফ্রান্সের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী মতিন এর সভাপতিত্বে এবং খাঁন জিলু’র সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন আতিকুর রহমান আতিক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল হান্নান কুটি, মিজানুর রহমান, আব্দুল হামিদ, সামসুজ্জামান (জালাল), রাজনুল আমিন, খায়রুল আমীন খসরু, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাদির, খলিলুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সুমন বক্স, আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ্য, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা এম,এ, বার তাহের ও কমিউনিটি নেতা আব্দুল মানিক এবং কমিউনিটি নেতা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা জানান, এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোঃ ময়নুল ইসলাম, সাংবাদিক লুৎফর রহমান বাবু, সাংবাদিক আবুল কালাম মামুন, কামাল হোসেন, সাংবাদিক এমসি রুমেল, প্রমুখ্য।
বনভোজন ও মিলনমেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন জুনেদ ফারহান, তৌফিক আবির, একে এম শাহ খয়রুল, কামরুল হাসান ইমন, সৈয়দ কালাম, তাজুল ইসলাম খান
এবং যুগ্ম-সমন্বয়কারী : মুরাদ আহমেদ, মোঃ দুলাল হোসাইন, ফুয়াদ হাসান মিটু, জুনেদ খান।
বনভোজন ও মিলনমেলার আহ্বায়ক ছিলেন, মোঃ আলাল খান, যুগ্ম আহবায়ক সামাদ খান রাজু, আব্দুর রহমান রাজু, এনামুল হক, মোঃ আলী চৌধুরী নাজির, জায়েদ মাহমুদ, আব্দুস সামাদ, জাহেদুল ইসলাম জুনেদ, আব্দুল ওদুদ মোহন, রুহিনুল ইসলাম, আল-আমিন আহমেদ।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে মধ্যান্যভোজ ছাড়াও পুরুষ মহিলা ও শিশুদের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন খায়রুল আমীন খসরু ও জুনেদ ফারহান এবং আলাল খান। প্রবাসে নানান কাজের ব্যস্ততায় পরিবারগুলো যখন একত্রিত হয়ে উৎসবে মিলিত হয় তখন এক অন্যরকম অনুভূতি সবার মাঝে লক্ষ্য করা যায়। খেলাধুলা সহ বিভিন্ন রকমের বাহারি আয়োজনে সাজানো হয়েছে এই আনন্দের মহা উৎসব।
অন্যন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল করিম খোকন, জসিম মিয়া, হাফিজুর রহমান মুকিম, সাইদুর রহমান শাহিন, জুনেদ আহমেদ চৌধুরী, আব্দুল মতিন, লতিফ আলী শাহ, এনামুল ইসলাম লিমন, পবন খান, খায়রুল ইসলাম, রুহুল আমিন রুমেল, শাওন আহমেদ, জামিল আহমেদ, আহমেদ শাহিন, সাইদুর রহমান, মাহি খান, আশরাফুর ইসলাম, আমিনুল ইসলাম শাহিন, জামাল আহমেদ টিপু, আব্দুর রহিম, রাহাত আহমেদ, কাউছার আহমেদ, জুবেল আহমদ ইনু প্রমুখ।
বিনোদনমূলক প্রতিযোগিতা খেলাধুলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল পুরুষদের জন্য ফুটবল খেলা ও হা-ডু-ডু এবং মহিলাদের জন্য বালিশ খেলা ও চেয়ার প্রতিযোগিতা এবং শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা ও লং দৌড় এবং ছট্র মণিদের জন্য লং দৌড় ইত্যাদি।
এবং অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে ১০টি আকর্ষনীয় পুরস্কার সম্বলিত “র্যাফেল ড্র” সবাই অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী সকল বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়
অনুষ্ঠানটি সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ অবদান রাখায় জন্য সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যদের মধ্যে সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং বনভোজনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পরিবারের হাতে একটি করে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
উপস্থিত প্রতিটি শিশু কিশোরদের হাতে বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী উপহার বিতরণ করা হয়।
ঠিকানা/এসআর