মোরশেদ খন্দকার
তুমি কি কখনো এসেছিলে-সুহাসিনী?
নাকি ভুলেও ভাবোনি আসবে কোনো দিন!
দিনভর হাঁটো পাশাপাশি, কানে কানে বলো কথা
বাতাসের সাথে আঁচল উড়িয়ে কী যে করো খেলা!
তালুবন্দী করেছ অসীম আকাশ, যাবতীয় মেঘ।
হারিয়ে যাওয়ার আগে সাতাত্তরের ফুরফুরে সেই তুমি
মগজের নিঃসীম জগতে তবু ফিরে ফিরে আসো
নিয়মিত ভাঙো পাড়-তোলো ঢেউ অস্থিতে, মজ্জায়।
তুমি আসবে না জানো বলে সযত্নে রেখে যাও পদচিহ্ন।
রেখে যাও ছায়া, একান্ত স্পর্শ, অনাবিল ঘ্রাণ।
সুগন্ধে মাতোয়ারা কাশবন, বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, সাগর,
ধূমকেতু সুদূর। তুমি আসবে না তবু অপেক্ষমাণ
তোরণÑআদিগন্ত সারি সারি; কাকহীন নীরব দুপুর।
তুমি আসবে না বলে শুকিয়ে কাঠ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ।
তুমি আসবে না তাই মরুর বুকে জমে বিষাদের মেঘ।
তুমি আসবে না তাই চিরচেনা শহর জ্বলেপুড়ে ছাই!
শত-সহস্রাব্দ পার হলে, অনন্ত রাত্রির শেষে
ভোরের শিশির হয়ে ফিরে এসো তুমি।
জ্যৈষ্ঠের তপ্ত দুপুরে শীতের বাতাস হয়ে এসো।
সব ঝড়, রাহুগ্রাস থেমে গেলে, জোনাকির
হাতে হাত রেখে, বিলীয়মান পদচিহ্ন ধরে ধরে
বারংবার ফিরে এসো তুমি-সুহাসিনী।





