
নিউইয়র্ক : জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিতালী মুখার্জী, গ্যালাক্সি মিডিয়ার কর্ণধার বদরুদ্দোজা সাগরসহ অন্যান্যরা।
দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মিতালী মুখার্জী নিউইয়র্কে আসেন গ্যালাক্সি মিডিয়ার আমন্ত্রণে। গত ২৬ আগস্ট নিউইয়র্কের জ্যামাইকার মেরি লুইস একাডেমি মিলনায়তনে ‘মিউজিক্যাল নাইট উইথ মিতালী মুখার্জী অ্যান্ড বাদশা বুলবুল’ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন প্রিসিলা এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল আরটিভি ও ঠিকানা পত্রিকা। অনুষ্ঠানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল এখানে কোনো বক্তৃতা পর্ব ছিল না। এমনকি স্পন্সরদেরও মঞ্চে ডাকা হয়নি। আয়োজকদের লক্ষ্য ছিল সময় নষ্ট না করে দর্শক-শ্রোতাদের বেশি বেশি গান শোনানো।
গ্যালাক্সি মিডিয়ার কর্ণধার বদরুদ্দোজা সাগর বলেন, রুচির দুর্ভিক্ষের প্রতিবাদে প্রবাসে সংগীতের নান্দনিক ধারাকে শুদ্ধ পরিবেশনায় উপস্থাপন করতে গ্যালাক্সি মিডিয়া বদ্ধপরিকর। তারই ফলে মিতালী মুখার্জীর মতো একজন জনপ্রিয় ও গুণী শিল্পীকে নিয়ে আমাদের এই আয়োজন। সুস্থ সংগীতচর্চায় পাশে থাকার জন্য বদরুদ্দোজা সাগর সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ‘এ জীবন তোমাকে দিলাম বন্ধু তুমি শুধু ভালোবাসা দিও’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো পাশে’সহ শত শত জনপ্রিয় গান গেয়ে নব্বই দশকে দর্শককে বিমোহিত করে রাখতেন মিতালী মুখার্জী। সরাসরি তার গান উপভোগ করতে পারায় অনেক দর্শক ফিরে গেছেন সেই পুরোনো দিনে। সুকণ্ঠী মিতালী মুখার্জীর গাওয়া ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’-দুই পয়সার আলতা ছবির এই গান ১৯৮২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।
মিতালী মুখার্জীর শিক্ষাজীবন শুরু ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে। ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে ভারতের গুজরাটের মহারাজা সায়াজী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিষয়ে অধ্যয়ন করতে যান এবং সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণের পর গোল্ড মেডেলও লাভ করেন। তিনি বারোদা এবং আহমেদাবাদের রেডিও ও টেলিভিশনে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন এবং গুজরাটের বিভিন্ন শহরে কনসার্টে অংশগ্রহণ করতেন। এরপর তিনি এমফিল করতে চলে যান মুম্বাই। সেখানে মুম্বাই দূরদর্শন এবং মুম্বাই রেডিওতে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করতেন। নিয়মিত কনসার্টে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্যও অসংখ্য গান করেছেন। বাংলা ও হিন্দি ভাষায় অসংখ্য অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। ভারতে পড়ালেখা করার সময় পরিচিত হন খ্যাতিমান গজলশিল্পী ভুপিন্দর সিংয়ের সঙ্গে। ১৯৮৩ সালে বিয়ের পর ভারতেই স্থায়ী হন এই গুণী শিল্পী।