‘নাক’ হলো নাসা নাসিকারন্ধ্র ঘ্রাণেন্দ্রিয়ও বলে,
শ্বাস-প্রশ্বাস আসে ও বেরোয় জীবনের কাজ চলে।
পাঁচ ইন্দ্রিয়ের বড় ইন্দ্রিয় এতে কোনো নেই ভুল
খাঁচার ভিতর অচিন পাখির রাস্তাও এটা মূল।
নাক উঁচানোকে অবজ্ঞা বলে ঘৃণার প্রকাশ ঘটে,
‘নাক উঁচু ভাব’ মানুষেরা কভু দামও পায় না বটে।
নাক কাটা লোকে নির্লজ্জ বলে থাকে না হায়াও তার,
‘নাক কাটা’ গেলে চলে যায় মান বয় বেদনার ভার।
‘নাকে খত’ দেওয়া মানেই কিন্তু মাটিতে নাকটি ঘষে,
বলে আর কভু হবে না এমন প্রতিজ্ঞা করে বসে।
‘নাক খোঁটা’ মানে নাককে খুঁটিয়ে রক্ত বাহির করা,
‘নাকচাবি’ হলো গহনাবিশেষ নাকে হয় এটা পরা।
‘নাক বাঁকানো’ ঘৃণার প্রকাশ ‘নাক সিটকানো’ তা-ই,
‘নাকে কাঁদা’ হলো বিরক্তিকর ভান করে যারা খায়।
‘নাকের জল ও চোখের জলেতে’ লাঞ্ছনা উঠে আসে,
‘নাক কান বুজে’ অপমান সয় কষ্টেও ওরা ভাসে!
আপন নাকটি কেটে নাকি কেউ পরের যাত্রা ভাঙে,
নিজের অনিষ্ট নেমে আসে তাতে ভেসে যায় তার গাঙে!
কী বলিব আর নাক মাহাত্ম্য কথার কি শেষ আছে?
নাক আছে যার ব্যথা আছে তার এমন কথাও যাচে!


সুজন দাশ


