উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন দেশটির একটি বিশেষ অভিযানের সামরিক ইউনিটের যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন এবং এর উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে ২ নভেম্বর (রবিবার) রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
কিম বলেন, ‘‘আমাদের সেনাবাহিনী এখন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়ন অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত, এবং জনগণের ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় সম্পূর্ণ সক্ষম।’’
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, কিম জং উন শনিবার কোরিয়ান পিপলস আর্মির ১১তম কোর্পসের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং ইউনিটটির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। তিনি এর “নিখুঁত যুদ্ধ প্রস্তুতি” দেখে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
১১তম কোর্পস উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে অভিজাত বিশেষ বাহিনী, যা গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধের সহায়তায় রাশিয়ায় সৈন্য পাঠিয়েছিল এবং সেখানে আধুনিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
এই সফরটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হয় যখন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সম্মেলনের আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানিয়েছিল যে, লি-সি বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে। তবে বৈঠক-পরবর্তী ঘোষণায় বিষয়টি সম্পর্কে কোনো উল্লেখ ছিল না।
ইউনিটটির জাদুঘর পরিদর্শনের সময় কিম বলেন, “পুরো সেনাবাহিনীকে এমন এক শক্তিশালী ও বীর বাহিনীতে রূপান্তরিত করা আমাদের দলের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা—যারা প্রতিটি যুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনে।”
কিম জং উন ইউনিটটির অপারেশন পরিকল্পনা সংক্রান্ত ব্রিফিং নেন এবং বিশেষ বাহিনীর উন্নয়নের জন্য কৌশলগত নীতি ও গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি নির্ধারণ করেন।
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ইউনিটটির সক্ষমতা বাড়াতে সামরিক কাঠামোগত ও সাংগঠনিক পরিবর্তন আনতে হবে এবং এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করবে।
সূত্র: ওয়াইএনএ
ঠিকানা/এএস



ঠিকানা অনলাইন


