বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত ২৪ মে বাংলাদেশিদের জন্য মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণা করেন। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যে বা যারা বাধা দেবে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর শুক্রবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে জানান, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে শুক্রবার থেকে পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান এবং প্রাক্তন বাংলাদেশি কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়, এসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে অন্যদের ওপরও এ নীতির অধীনে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এতে আরো বলা হয়, আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এবং বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ফলে নতুন করে আবারো আলোচনায় এলো মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘ভিসানীতির বিষয় নতুন না। এটা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু আছে বলে মনে করি না।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে দলের ওপর কোনো চাপ পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ কেন পড়বে। কোনো চাপ নেই। কারণ আমাদের একটাই কথা আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা সেটাই করব।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এমন ভিসানীতি তারা যদি ২০১৪ ও ১৮ সালে দিত তাহলে বিএনপি দেশজুড়ে জ্বালাও-পোড়াও করতে পারত না। করতে ভয় পেত। আওয়ামী লীগের এটা নিয়ে চিন্তার বা ভয়ের কিছু আছে বলে তো আমি মনে করি না।’ এ বিষয়ে দলটির আরেক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা চাপ অনুভব করব কেন? আর এখানে চাপ অনুভব করার কারণ নেই। তারা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এ নীতিমালা প্রয়োগ করতে চায় বা করে... তাদের চাওয়া এবং আমাদের চাওয়ার মধ্যে তো কোনো পার্থক্য নেই।’
ঠিকানা/এম