আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞায় নিজের নাম থাকার কথা শুনেছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির এমপি ও দলটির সাবেক মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা।
২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি অখুশি নই। আমি শুনেছি আমাকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমার আমেরিকার ১০ বছরের ভিসা আছে। আমার এখন যাওয়ার কোনো ইচ্ছাও নেই, সুযোগও নেই। সামনে নির্বাচন। গত পাঁচ বছরেও আমেরিকা যাইনি।
গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বিচার বিভাগের সদস্যসহ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তা নিয়ম অনুযায়ী প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
তবে রাঙ্গা বলেন, ‘আমার হাতে এ-সংক্রান্ত কোনো (ভিসা নিষেধাজ্ঞা) কাগজ আসেনি। ওখানে আমার কেউ নাই, ছেলেমেয়ে নাই। কিছু বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন আছে। আমি তাদের কাছে যাই, সেখানে গেলে ডলার খরচ করে আসি।’
রাঙ্গা আরও বলেন, ‘ওখানে যেতে হবে কেন, পৃথিবীতে আরও অনেক দেশ আছে। আমার কোনো ছেলেমেয়ে সেখানে পড়ে না, আমার ভাইবোনরাও পড়ে না। রক্তের সম্পর্কের কেউ পড়ে না। তারা তাদের নিয়ম অনুযায়াী ভিসা দেবে অথবা দেবে না। আমি জেনেছি, তারা আমার ভিসা বাতিল করেছে। তবে আমি তাদের ভিসার জন্য আবেদন করিনি। এতে আমি নট আনহ্যাপি, মশিউর রহমান রাঙ্গা ইজ নট আনহ্যাপি।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না দেশটি।
ওই ঘোষণার প্রায় চার মাস পর গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় বাধাদানকারী ব্যক্তিদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ শুরুর ঘোষণা দেয়।
ঠিকানা/এনআই