নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীরা। শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকায় তাদের মারামারি রক্তপাতহীন ছিল। কিন্তু এই মারামারি সামলাতে গিয়ে পুলিশকে গলদঘর্ম হতে হয়েছে।
দুই দলের মারামারিতে বল্লম-বর্ষা বা কোনো প্রকার অস্ত্র ছিল না। কিন্তু পানির বোতল ব্যবহৃত হয়েছে। বৃষ্টির মত একে অপরকে পানির বোতল ছুঁড়েছেন ঢিল হিসাবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ভাষণ উপলক্ষে সকাল থেকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে দাগ হ্যামারশেল্ড পার্কে শান্তি সমাবেশ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। আর এর বিপক্ষে, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আগমণের প্রতিবাদে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি দেয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি, নিউইয়র্ক মহানগর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠন। সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে জড়ো হন ওই পার্কে। পুলিশ বিশৃঙ্খলা এড়াতে আওয়ামী লীগকে পার্কের ভেতরে এবং বিএনপিকে পার্ক সংলগ্ন ৪৭ স্ট্রিটে বিক্ষোভের অনুমতি দেয়। দুই দলের মাঝে পার্কের কিছু জায়গাকে উন্মুক্ত স্থান হিসাবে রাখা হয়। দুই দলের নেতা-কর্মীদের স্লোগানে মুখর ছিল এলাকা। কিন্তু দুপুরের কিছু আগে হঠাৎ দুই দলের কর্মী সমর্থক একে অন্যকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুঁড়ে মারে। এসময় পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা হয়ে পড়েন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। একপর্যায়ে তারা দুই দলের কর্মীদের মাঝে অবস্থান নিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
তবে এই ঘটনায় পুলিশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তাদের বলতে শোনা যায়- এটি সংরক্ষিত এলাকা। কেউ যদি আবার মারামারিতে লিপ্ত হয় তাহলে তাদের আটক করা হবে। এসময় পথচারীদের বলতে শোনা যায়- রাজনীতির নামে এ কেমন নোংরামি। দুই দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন, দুই দলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী আছে, যাদের কাজই হচ্ছে উস্কানি দিয়ে মারামারি করা। এদের প্রতিহত করা উচিত। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের বদনাম হয়।



ঠিকানা রিপোর্ট


