জর্জেস মোহাম্মদ
প্রাণের টানে, সুর তুলেছে গানে,
গাইছে কি বধূ, বেসুর হৃদয় টানে।
ভ্রমর সুরে বিলায় বাটে ঘাটে।
মেঠো পথে নগ্ন চরণ হাটে।
অভাব অসার দিনে, মান-অভিমানে,
ছুটছে বেলা, অন্ধকারের পানে।
সাগরসম ছোট্ট পুকুরপাড়ে,
ঢেউয়ের লহর গুনছে প্রাণভরে।
সাতসকালে কোমল রোদের ভিড়ে,
ময়না, শালিক, খাবার খোঁজে ফিরে।
ফড়িং নেচে মনের সুখে ওড়ে।
শিউলি ফুলের সুবাস বায়ুজুড়ে।
রোদের আশায় পুকুরপাড়ে যায়,
সোহাগী নাতিন, হুকুর কল্কি সাজায়।
শীতের ভোরে, ফিঙ্গের নাচন দেখে,
ক্লান্তিভারে, দুঃখ রাখে ঢেকে।
গোয়ালঘরে আঁচলকাটা ঠোঁটে,
লাজুক বধূর, রূপটি ফুটে ওঠে।
নোলক দোলে, রূপসাগরের মাঝে,
না সেজেও যে, অপরূপে সাজে।
লাঙল কাঁধে চাষির মাঠে চলা।
চোখের কোণে জমাট কথা বলা।
আবার যদি বারেক ফিরে চায়,
একপলকে জীবন তুলে দেয়।
মনের সুখে সুর তুলেছে গানে,
গাইছে বধূ আপনমনে প্রাণে।
সাত সুরের অন্ত নাহি টানে,
বধূর সুখ বধূই শুধু জানে।
                           
                           
                            
                       
    
 
 


                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
