Thikana News
২২ জুলাই ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নূরুল কবীর

রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের  মতো সংবিধান রচনা করেছে 

রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের  মতো সংবিধান রচনা করেছে 
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ‘নিউএজ’ সম্পাদক নূরুল কবীর বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান কখনো জনগণের স্বার্থে রচিত হয়নি। যে রাজনৈতিক দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই তাদের মত করে সংবিধান রচনা করেছে। বাংলাদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে সবার আগে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। গত ২২ অক্টোবর রোববার দুপুরে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে একটি রেস্টুরেন্টে  অনির্ধারিত এক আড্ডায় এসব কথা বলেন নূরুল কবীর। নূরুল কবীর আরো বলেন, সংসদ সদস্যদের কাজ আইন প্রণয়ন করা। তারাই আবার সংবিধান রচনায় ভূমিকা রাখছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এমনটি হয় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণীত হয়নি। 

নিউইয়র্ক : সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট নূরুল কবীর।

নূরুল কবীর বলেন, একটি দলের যে মেনিফেস্টো থাকে, তারা ক্ষমতায় গেলে সেই মেনিফেস্টোর আদলে সংবিধান তৈরি করে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় এসেছে, তখন তার দলের মেনিফেস্টো অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সংবিধান তৈরি করেছে। আবার আওয়ামী লীগ যখন এসেছে, তার দলের মেনিফেস্টো অনুযায়ী সংবিধান তৈরি করেছে। ফলে বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি সংবিধানে। ফলে এখন যারা সংবিধানের কথা বলছেন, বিরোধীরা তা মানবেন না এটাই স্বাভাবিক। 
বাংলাদেশের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে নূরুল কবীর বলেন, আমি তো সব বিষয়ে লিখছি। কেউ তো আমাকে বাধা দিচ্ছে না। তবে অনেকক্ষেত্রে সাংবাদিকরা নিজেরাই সেলফ সেন্সরশিপ আরোপ করছেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কাজ হচ্ছে রাষ্ট্রের নিপীড়নমূলক কাজ তুলে ধরা। সত্যি কথাগুলো সততার সঙ্গে তুলে ধরা। সীমাবদ্ধা থাকা সত্ত্বেও আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সাংবাদিকদের রাজনৈতিক লেজুরবৃত্তি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল কবীর বলেন, প্রত্যেক সাংবাদিকের রাজনীতি করার স্বাধীনতা আছে। এটা তার ব্যক্তিগত অধিকার। তবে ইতিহাস তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তিনি উদাহরণ দিয়ে উল্লেখ করেন, ষাটের দশকে ঢাকায় দুইশ সাংবাদিক ছিলেন। এই মুহূর্তে তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে ৪-৫ জনের বেশী নাম কেউ বলতে পারবেন না। একইভাবে আশির দশকের সাংবাদিকদের নাম চাইলে কেউ দশজনের বেশী নাম বলতে পারবেন না। এখন যারা সাংবাদিকতা করেন তারা ওই জনের মধ্যে থাকবেন কীনা সেটার সিদ্ধান্ত তাদের। 
আলোচনাকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, ডা. খন্দকার মাসুদুর রহমান, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট ফরহাদ হোসেন, সাংবাদিক মনির হায়দার, মনোয়ারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, রতন তালুকদার, মোহাম্মদ সাঈদ, মনজরুল হক, কাজী জেসিন প্রমুখ। 

কমেন্ট বক্স