ঠিকানা অনলাইন 
বিএনপি-জামায়াতের চতুর্থ দফা অবরোধের আগের রাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। শুধু রাজধানীতেই এক ঘণ্টার ব্যবধানে চার বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ১১ নভেম্বর শনিবার রাত ৮টা ২০ মিনিট থেকে রাত ১১টা ৩৮ মিনিটের মধ্যে এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বি জসিম জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটে সার্কুলার রোডে নটর ডেম কলেজের সামনে, ১০ মিনিট পর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে, আধা ঘণ্টা পর গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের সামনে ও সর্বশেষ রাত ৯টা ২৭ মিনিটে যাত্রাবাড়ী ফলপট্টির সামনে মোট চারটি যাত্রীবাহী বাসে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।
যাত্রাবাড়ী ফলপট্টি এলাকায় অনাবিল পরিবহনের আগুনে আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তি দগ্ধ হয়েছেন। পেশায় তিনি রিকশাচালক। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মো. সফরদী আলীর ছেলে তিনি। তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তার ছেলে ফরিদুল জানান, আমার বাবা রামপুরা মোল্লাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ওই এলাকায় রিকশা চালান। আজ আমার চাচার বাসায় নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার পথে অনাবিল গাড়িতে দগ্ধ হন তিনি। আমরা খবর পেয়ে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিই। বাবার দুই হাত, দুই পা ও শরীর দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে ওই সার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এদিকে গাজীপুরে এক ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রাক ও পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের ধীরাশ্রম এলাকায় একটি ট্রাক ও রাত সাড়ে নয়টার দিকে যোগীতলা এলাকায় একটি পিকআপে আগুনের ঘটনা ঘটে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে একটি ট্রাক গাজীপুর দক্ষিণখান এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত প্রথমে ঢিল ছোড়ে। পরে ট্রাকটি থামালে তারা পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সদর থানার পুলিশ যায়। এলাকাবাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন ট্রাকটি রাস্তার পাশে রয়েছে। চালক দ্রুত নেমে যাওয়ায় প্রাণে রক্ষা পান।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর সারা দেশে হরতালের ডাক দেয় দলটি। তাদের সঙ্গে একই কর্মসূচি দেয় জামায়াত ও তাদের মিত্র দলগুলো। হরতালের পরদিন ২৯ অক্টোবর থেকে তিন দিন সর্বাত্মক অবরোধ পালন করে তারা। তারপর এল এই চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচি।
ঠিকানা/এনআই
