বায়ুদূষণের দিক থেকে আবারও শীর্ষে উঠেছে ঢাকা। আজ ১০ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় দেখা গেছে। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) বলছে, সকাল ৮টার পর ২৩৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে ঢাকা। সকাল ১০টার সময়ও এই স্কোর ছিল ঢাকার। সূচকের তথ্য অনুসারে, উল্লিখিত সময়ে বায়ুদূষণের তালিকায় ২২৬ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে  পাকিস্তানের লাহোর। এরপর ২১৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে জায়গা নেয় চীনের চেংদু।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার। সংস্থাটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এই ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। ৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে সংস্থাটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়। র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার। সে হিসাবে আজ ঢাকায় ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
দেশের সবচেয়ে জনবহুল শহরের বাতাসের এ দূষণচিত্র নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে রাজধানী। এ নগরের বাতাসের মান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়। তবে বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো— ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো। জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
ঠিকানা/এম
                           
                           
                            
                       
    
 
 


 ঠিকানা অনলাইন 
                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
                                                     
                                                
