Thikana News
০৮ জুন ২০২৫
  1. ই-পেপার
  2. চলতি সংখ্যা
  3. বিশেষ সংখ্যা
  4. প্রধান সংবাদ
  5. আমেরিকার অন্দরে
  6. বিশ্বচরাচর
আমেরিকা রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

গ্রেস মেং-এর সঙ্গে প্রবাসের সংখ্যালঘু নেতাদের বৈঠক 

গ্রেস মেং-এর সঙ্গে প্রবাসের সংখ্যালঘু নেতাদের বৈঠক 



 
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য গ্রেস মেং-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি  সংখ্যালঘু সমাজের নেতৃবৃন্দ। এ সময় তারা কংগ্রেস সদস্যের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে এ যাবৎ কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল সেসব বিষয় তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ আসন্ন নির্বাচনকালে সংখ্যালঘু নাগরিকদের নিরাপত্তার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 
গত ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার নিউইয়র্কের ফ্রেশ মেডোজে যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের একজন নেতার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ড. দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তি, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।  
বৈঠকে নেতৃবৃন্দ ১৯৭১-এর গণহত্যার পটভুমি, সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুর্ভোগের অনুপুঙ্খ কাহিনী, দেশের প্রথম সংবিধানে ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও রাজনীতে ধর্মীয় উগ্রপন্থী-মৌলবাদীদের পুনর্বাসন এবং সাংবিধানিকভাবে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করে, জন্মগতভাবে সেক্যুলার ডেমোক্রেটিক বাংলাদেশকে কার্যতঃ একটি ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করা, অত্যাচারের মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হওয়ায় দেশের মোট জনসংখ্যায় হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের প্রতিনিধিত্বের হার ও সংখ্যা অবিশ্বাস্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ার কারণ এবং তার ফলে বাংলদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে আর যে মাত্র তিরিশ বছর লাগবে সে’সম্পর্কে ঢাকা ট্রিবিউনে ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান-নির্ভর ভবিষ্যদ্বাণী গ্রেস মেংকে জানানো হয়।  
বৈঠকে তুলে ধরা হয়- প্রগতিশীল দাবিদার আওয়ামী লীগ যদিও বিএনপি’র মত নিজেরা কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতন করেনি, তারা সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করার কোনো টেকসই ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ধর্মীয় মৌলবাদীদের তোষণ করতে দুই-চারটা বহুল আলোচিত মামলা ছাড়া তারা কোন সংখ্যালঘু নির্যাতকের বিচার করেনি। সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল করা এবং তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণে বিএনপি বা জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো তফাৎ নেই, যার উদাহরণ হিসেবে তারা শত্রু সম্পত্তি আইনের বলে সম্পত্তি অত্মস্যাৎ করার পরিসংখ্যান এবং বর্তমানে শুধু মুসলমানদের জন্য ৫৬০টি মডেল উপাসনালয় নির্মাণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। 
বৈঠকে গ্রেস মেং বলেন, তিনি অন্তরিকভাবে চান যে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হোক, যাতে সংখ্যালঘু নাগরিকসহ দেশের সকল নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তিনি আরো বলেন,সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা বিধান করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। 
গ্রেস মেং বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলে তাপস দে, সুবল দেবনাথ, পরিমল কর্মকার, সাধন দাস, গোপাল সাহা, নৃপতি রায়সহ উপস্থিত সকলে তাকে ধন্যবাদ  জানান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও দেশের প্রগতিশীল শক্তিকে সাহায্য করতে অনুরোধ জানান, যাতে বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের সংবিধান, অর্থাৎ ধর্ম-নিরপেক্ষ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। 

কমেন্ট বক্স