পলাতক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানের করাচিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিষক্রিয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যদিও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবর এখনো নিশ্চিত করেনি।
একাধিক রিপোর্টে দাউদ ইব্রাহিমকে হাসপাতালের অভ্যন্তরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে। ১৯৯৩ মুম্বাই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড এবং ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড দাউদ ইব্রাহিম কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। মুম্বাইয়ে বিধ্বংসী বোমা হামলার ফলে ২৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হন এবং হাজার হাজার আহত হন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রায়ই বলেছে যে, তারা বিশ্বাস করে ইব্রাহিম করাচির ক্লিফটন এলাকায় বাস করেন। কিন্তু পাকিস্তান প্রায়ই সে দেশে তার উপস্থিতি অস্বীকার করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, তার ভাগ্নে জাতীয় তদন্ত সংস্থাকে বলেছিল যে, সে পাকিস্তানে আবার বিয়ে করেছে এবং করাচিতে তার পরিবারের সাথে থাকে।
দাউদের বোন হাসিনা পারকারের ছেলে আলিশাহ পারকার বলেছেন,''দাউদ ইব্রাহিমের দ্বিতীয় স্ত্রী আছে, তিনি একজন পাকিস্তানি পাঠান। তার নাম মাইজাবিন। তার তিন মেয়ে মারুখ (জাভেদ মিয়াঁদাদের ছেলে জুনায়েদের সাথে বিবাহিত), মেহরিন (বিবাহিত) এবং মাজিয়া (অবিবাহিত) এবং এক ছেলে মহিন নওয়াজ (বিবাহিত) রয়েছে।
ডি-কোম্পানি রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপর আক্রমণ করে ভারতের জনগণের মধ্যে সন্ত্রাস চালানোর জন্য একটি বিশেষ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ । গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স (GTI) এর ১০ তম সংস্করণে উল্লেখ করা হয়েছে, দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ডি-কোম্পানি এখনও মুম্বাইতে মাদক, অস্ত্র, নকল পণ্য ইত্যাদি পাচার সহ বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে অপরাধী সংগঠনটির আল-কায়েদা সহ বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। এর মধ্যেই সূত্রের খবর, গত দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দাউদ। চিকিৎসক ও পরিবারের একেবারে ঘনিষ্ঠরা ছাড়া কেউই দেখা করতে পারছেন না দাউদের সঙ্গে। তার শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক বলেই সূত্রের খবর। যদিও দাউদের পরিবার বা করাচির হাসপাতালের তরফে এই নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। সূত্র : livemint
ঠিকানা/এসআর