কাতার বিশ্বকাপ মাঠে গড়ায় ফুটবল মৌসুমের মাঝপথে। তবু দলবদলে এর প্রভাব পড়েছিল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইনরা কেমন আছেন!
মেসি-ডি মারিয়ার পর বিশ্বজয়ীদের দায়িত্ব নেবে কারা?
শুরুতেই আসে দলের নেতা লিওনেল মেসির নাম। বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। সাত গোল করে জেতেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার গোল্ডেন বল। বিশ্বকাপের পর ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। যোগ দেওয়ার সময় জানান, ফুটবলকে তিনি উপভোগ করতে চান।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া
ফাইনালে গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে গোলও করান তিনি। বিশ্বকাপ পরে জুভেন্তাস থেকে ফ্রি এজেন্টে যোগ দেন তার পুরোনো ক্লাব পর্তুগালের বেনফিকাতে।
জুলিয়ান আলভারেজ
বিশ্বকাপের অভিষেক আসরে ৭ ম্যাচে ৪ গোল করেছেন তরুণ এই স্ট্রাইকার। ২০২২ সালের জুলাইয়ে আর্জেন্টাইন ক্লাব রিভার প্লেট থেকে যোগ দেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। বিশ্বকাপের পর ম্যানসিটির হয়ে ট্রেবল জিতেছেন এই তারকা।
লাউতারো মার্তিনেজ
বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে গোল করতে পারেননি তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই খেলছেন ইতালিয়ান ইন্টার মিলানে। চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচে গোল করেছেন ১৬ গোলটি।
পাওলো দিবালা
কাতার বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মাঠে ছিলেন মাত্র ৩৭ মিনিট। তবে ইতালিয়ান ক্লাব রোমার হয়ে নিয়মিতভাবে পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তিনি।
রদ্রিগো ডি পল
কাতার বিশ্বকাপে মিডফিল্ডে অন্যতম কারিগর তিনি। নিয়মিতভাবে তিনি খেলছেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের একাদশে। চলতি মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ১০৬৯ মিনিট খেলেছেন তিনি।
আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার
তিনি বিশ্বকাপে খেলেন ৬ ম্যাচ। চলতি মৌসুমের দলবদলে ব্রাইটন ছেড়ে যোগ দেন লিভারপুলে। ৪২ মিলিয়ন ইউরোতে তাকে দলে ভেড়ালেও এখনো তার কাছ থেকে তেমন পারফরম্যান্স পায়নি অল রেডরা।
এনজো ফার্নান্দেজ
বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় তিনি। শীতকালীন দলবদলে রেকর্ড ১০৭ মিলিয়ন পাউন্ডে চেলসিতে যোগ দেন।
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ
আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই গোলকিপার। কোয়ার্টার ফাইনাল টাইব্রেকে দুটি ও ফাইনালে একটি সেভ করেন তিনি। ফাইনালে ১২০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ে কোলো মুয়ানির শট আটকে দিয়ে নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে বাঁচান দলকে। বিশ্বকাপের সেরা এবং ফিফার বর্ষসেরা গোলকিপার এখনো খেলছেন অ্যাস্টন ভিলায়।
পাপু গোমেজ
কাতার বিশ্বকাপে মাত্র দুটি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের পর সেভিয়া ছেড়ে তিনি যোগন ইতালিয়ান ক্লাব মোনজাতে। তবে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
থিয়াগো আলমাদা
কাতার বিশ্বকাপে মাত্র ৬ মিনিট খেলে চ্যাম্পিয়নের তকমা পান আলমাদা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব আটলান্টা ইউনাইটেডে খেলেন তিনি।
এজেকুয়েল পালাসিওস
বিশ্বকাপে পালাসিওস তিন ম্যাচে খেলেছেন মাত্র ৪৭ মিনিট। জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনে চলতি মৌসুমে ১৯ ম্যাচে করেছেন চার গোল।
নিকোলাস ওতামেন্দি
আর্জেন্টিনার সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তিনি। ২০২০ থেকে নিয়মিতভাবে খেলছেন বেনফিকায়।
মার্কোস আকুনা
বিশ্বকাপ ম্যাচ ৬ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে খেলছেন স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াতে। ক্লাবটির হয়ে জেতেন ইউরোপা লিগের শিরোপা।
ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো
বিশ্বকাপের সময় ধারে ছিলেন টটেনহ্যামে তিনি। গত মৌসুমে পাকাপাকিভাবে চুক্তি করেন ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে।
লিসান্দ্রো মার্তিনেজ
বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্ডার ২০২২-২৩ মৌসুমের শুরু থেকে খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে।
নাহুয়েল মোলিনা
২০২২ এর জুলাইতে পাঁচ বছরের চুক্তিতে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন মোলিনা।
হুয়ান ফয়েথ
২০২১ থেকে ভিয়ারিয়ালে খেলছেন তিনি। বিশ্বকাপে মাত্র চার মিনিট খেলা এই ডিফেন্ডার চলতি মৌসুমে ক্লাবের জার্সিতে খেলেছেন ১৬ ম্যাচ।
নিকোলাস তাগলিয়াফিকো
তিনি কাতার বিশ্বকাপের সময় থেকে আছেন ফ্রেঞ্চ ক্লাব লিওতে। চলতি মৌসুমে খেলেছেন ১৩ ম্যাচে।
গঞ্জালো মন্তিয়েল
ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকে উইনিং শটটি নেন তিনি। বিশ্বকাপের সময় এই রাইট ব্যাক ছিলেন সেভিয়াতে। চলতি মৌসুমে ধারে খেলতে খেলছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টে।
জার্মান পাজেলা
কাতার বিশ্বকাপে মাত্র ৫৭ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। এই সেন্টার ব্যাক নিয়মিত খেলছেন রিয়াল বেতিসে।
লিয়ান্দ্রো পারাদেস
বিশ্বকাপের সময় লিয়ান্দ্রো পারাদেস ধারে খেলছিলেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসে। চলতি মৌসুমে তিনি যোগ দেন রোমাতে।
অ্যাঞ্জেল কোরেয়া
সেমিফাইনালে মাত্র চার মিনিট খেলার সুযোগ পান অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। ২০১৫ থেকে খেলছেন অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে খেলছেন তিনি। চলতি মৌসুমে ১৯ ম্যাচে করেছেন চার গোল।
গুইদো রদ্রিগেজ
মেক্সিকোর বিপক্ষে ৫৭ মিনিট খেলার সুযোগ পান। এই মিডফিল্ডার নিয়মিতভাবে খেলছেন বেতিসে।
ফ্রাঙ্কো আরমানি
২০১৮ সাল থেকে রিভার প্লেটে খেলছেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি ৩৭ বছর বয়সী এই গোলকিপারের।
জেরেনিমো রুলি
বিশ্বকাপে মাঠে নামতে না পারা রুলি, চলতি মৌসুমে যোগ দেন আয়াক্সে। কাঁধের ইনজুরির কারণে খেলেছেন মাত্র মাত্র এক ম্যাচ।