আশাবাদের মধ্যে আছে কেবল রপ্তানি খাত। অর্থনীতির আর সব সূচকেই খরার টান। বাণিজ্যঘাটতি গত ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি গত ৩০ বছরের কোন সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কায় মধ্যে সর্বনিম্ন। বৈদেশিক মুদ্রা আয় কমে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতিও গত ৫০ বছরে দেখা যায়নি। এর প্রভাবে কেবল চলতি বছরেই টাকার অবমূল্যায়ন করতে হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার কাতারে। তাহলে সিঙ্গাপুরের ঢেঁকুর কেন?
বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর প্রমাণের চেষ্টাও আছে। এক আনা চেতনা, এক বালতি ঋণ, এক রত্তি প্রগতি, কয়েক গামলা উন্নয়ন মিলিয়ে দেশকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মেলানোর আয়োজন ব্যাপক। টানেল, মেট্রো রেল, পাতাল ট্রেন, পদ্মা ব্রিজের চিক্কুর শুনিয়ে উন্নয়নের বাজনার তোড় ব্যাপক। যা দিয়ে বেহেস্তের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চও কি কম জমজমাট?
স্বর্গসুখ-সম্ভোগ-এনজয় করার মানুষও এ দেশে আছে। তারা সংখ্যায় কতো? সেই হিসাব তোলাই থাকছে। যুক্তি কড়া সবদিকেই। বাজারে পিঁয়াজের দাম বাড়লে পিঁয়াজের ফলন কমের অংক। আমদানীর অনুমতি দিতে না দিতেই দাম অর্ধেক হয়ে যাওয়ার ম্যাজিকও আছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ২৭০ টাকা উঠলো। খামারিদের যুক্তি মুরগির খাবারের দাম চড়ে গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০-৯০ টাকায় নামতেও সময় লাগেনি। রাতারাতি মুরগির খাবারেরও দাম কমে গেছে? গরুর মাংসের কেজি প্রায় ৮০০ টাকা। গরুর খাবারের দাম বেশি? আমদানীর অনুমতি দিলে গরুর মাংসের দামও অর্ধেক হয়ে যাবে তখন? শ্রীলঙ্কা-সিঙ্গাপুরে বুঝি এমনই হয়? হ্যাঁ-না দুটা বলার সুযোগই আছে। তথ্যও কি কম কারো কাছে?
তথ্যের পিটুনিতে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক, দুবাই প্রমাণের তথ্য যেমন আছে, শ্রীলঙ্কা বানানোর উপাদানও আছে। উগান্ডা বানানোর তথ্য-সাবুদও কম নয়। বাংলাদেশের তুলনা বাংলাদেশই। এরপরও প্রশ্ন ঘুরছে- কোন সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কায় আছে বাংলাদেশ? বাংলাময় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গল্প এখন মন্থর। মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির সূচক দিয়ে উন্নয়ন মাপার রেওয়াজ দেশে রয়েছে। জিডিপি কিসের ভিত্তিতে হয়, তা বিবেচনায় আনা হয়?
অল্প কিছু মানুষের বাড়বাড়ন্ত সম্পদ গড়ের অংকে জিডিপির পরিমাণ প্রতি বছর বাড়াচ্ছে। তা বাংলাদেশেকে জিডিপির অংকে সিঙ্গাপুর- মালয়েশিয়ায় নিতে কি বেশি সময় লাগবে? জিডিপির হিসাব বাদ দিয়ে মানুষের জীবন মানের বিভিন্ন খাতের দিকে তাকালে কী চিত্র সামনে আসে? স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালে গেলে কি দেখা যায়? সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কা? অন্যান্য সরকারি সেবা নিতে গিয়ে চারদিকে বাংলাদেশ ছাড়া আর কিছু দেখা যায়?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।
বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর প্রমাণের চেষ্টাও আছে। এক আনা চেতনা, এক বালতি ঋণ, এক রত্তি প্রগতি, কয়েক গামলা উন্নয়ন মিলিয়ে দেশকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে মেলানোর আয়োজন ব্যাপক। টানেল, মেট্রো রেল, পাতাল ট্রেন, পদ্মা ব্রিজের চিক্কুর শুনিয়ে উন্নয়নের বাজনার তোড় ব্যাপক। যা দিয়ে বেহেস্তের বাংলাদেশ ব্রাঞ্চও কি কম জমজমাট?
স্বর্গসুখ-সম্ভোগ-এনজয় করার মানুষও এ দেশে আছে। তারা সংখ্যায় কতো? সেই হিসাব তোলাই থাকছে। যুক্তি কড়া সবদিকেই। বাজারে পিঁয়াজের দাম বাড়লে পিঁয়াজের ফলন কমের অংক। আমদানীর অনুমতি দিতে না দিতেই দাম অর্ধেক হয়ে যাওয়ার ম্যাজিকও আছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ২৭০ টাকা উঠলো। খামারিদের যুক্তি মুরগির খাবারের দাম চড়ে গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০-৯০ টাকায় নামতেও সময় লাগেনি। রাতারাতি মুরগির খাবারেরও দাম কমে গেছে? গরুর মাংসের কেজি প্রায় ৮০০ টাকা। গরুর খাবারের দাম বেশি? আমদানীর অনুমতি দিলে গরুর মাংসের দামও অর্ধেক হয়ে যাবে তখন? শ্রীলঙ্কা-সিঙ্গাপুরে বুঝি এমনই হয়? হ্যাঁ-না দুটা বলার সুযোগই আছে। তথ্যও কি কম কারো কাছে?
তথ্যের পিটুনিতে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক, দুবাই প্রমাণের তথ্য যেমন আছে, শ্রীলঙ্কা বানানোর উপাদানও আছে। উগান্ডা বানানোর তথ্য-সাবুদও কম নয়। বাংলাদেশের তুলনা বাংলাদেশই। এরপরও প্রশ্ন ঘুরছে- কোন সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কায় আছে বাংলাদেশ? বাংলাময় সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়ার গল্প এখন মন্থর। মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপির সূচক দিয়ে উন্নয়ন মাপার রেওয়াজ দেশে রয়েছে। জিডিপি কিসের ভিত্তিতে হয়, তা বিবেচনায় আনা হয়?
অল্প কিছু মানুষের বাড়বাড়ন্ত সম্পদ গড়ের অংকে জিডিপির পরিমাণ প্রতি বছর বাড়াচ্ছে। তা বাংলাদেশেকে জিডিপির অংকে সিঙ্গাপুর- মালয়েশিয়ায় নিতে কি বেশি সময় লাগবে? জিডিপির হিসাব বাদ দিয়ে মানুষের জীবন মানের বিভিন্ন খাতের দিকে তাকালে কী চিত্র সামনে আসে? স্বাস্থ্যসেবার জন্য হাসপাতালে গেলে কি দেখা যায়? সিঙ্গাপুর-শ্রীলঙ্কা? অন্যান্য সরকারি সেবা নিতে গিয়ে চারদিকে বাংলাদেশ ছাড়া আর কিছু দেখা যায়?
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন, ঢাকা।