
অনুভূতি হলো শরীর ও মনের একটি বিশেষ অবস্থা, যার দ্বারা বহির্জগতের উদ্দীপনা ভেতরে উপলব্ধ হয়। অর্থাৎ অনুভব করার অবস্থাই হলো অনুভূতি। অনুভূতি দুই প্রকার। যথা শারীরিক অনুভূতি ও মানসিক অনুভূতি। শারীরিক অনুভূতি হলো শারীরবৃত্তীয় কাজ। আর বাহ্যিক ঘটনার যে মানসিক ছাপ পড়ে, তা-ই হলো মানসিক অনুভূতি। এই মানসিক অনুভূতির মধ্যে সুখ, দুঃখ, বেদনা, ভালোবাসা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মানুষের মনে ভালোবাসার জগৎ এক বিশাল অনুভূতির জগৎ। তাই আজ আমি অনুভূতি সম্পর্কিত কিছু কথা তুলে ধরব।
আমি ড. রফিকুল ইসলাম কারও প্রশংসা বা দোষের দিকে কোনো রকম মনোযোগ দিই না। আমি কেবল নিজের অনুভূতি অনুসরণ করি। যেহেতু ভালোবাসা কখনোই দেখা বা ছোঁয়া যায় না, এটা হৃদয় দিয়েই অনুভব করে নিতে হয়। আসলে বিষয়টি হচ্ছে মানুষের ভালোবাসাতেই মানুষ, মানুষকে স্নেহ এবং সুরক্ষা দিলে হয়তো-বা তারাও একদিন স্নেহ দেবে এবং তাদের অনুভূতি ও আচরণ থেকেও সুরক্ষিত থাকা যাবে।
আমারও অনুভূতি আছে। আমি এখনো মানুষ। আমি যা চাই তা ভালোবাসি, তা নিজের জন্য এবং আমার প্রতিভার জন্য। যেখানে অনুভূতি বা আবেগ হলো সর্বজনীন ভাষা এবং আমার কাছে সম্মানিত। এগুলো হচ্ছে আমার গভীরতম স্থানে, কে আমি তার সত্যিকারের অভিব্যক্তি। যেহেতু সবকিছু বলে বোঝানো যায় না, কিছু কিছু কথা অনুভবে বুঝে নিতে হয়। তবে নিজের বোধের আগে অন্যের অধিকার এবং নিজের অধিকারের আগে অন্যের অনুভূতি বিবেচনা করা উচিত।
বিশ্বের সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলো দেখা বা ছোঁয়া যায় না। এগুলো অবশ্যই হৃদয় দিয়ে আমাকে অনুভব করে নিতে হয়। আমি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা পছন্দ করি না এবং নীতিগত বিষয় হিসেবে আমি অন্য লেখকদের সমালোচনা পছন্দ করি না। আমরা অনেকেই সত্যের ওপর আইন প্রয়োগ করি। আর আমি সত্যের ওপর অনুভূতি প্রয়োগ করি।
সংগীত আমার মধ্যে অনেক অনুভূতি জাগায়, অতীত এবং অতীতের সঙ্গে সংযুক্ত আছে এমন সব জিনিস সংগীতের মধ্যে খুঁজে পাই। আমি একজন পুরুষ হিসেবে একজন নারীর জন্য আবেগ স্পষ্ট হবে এবং আন্তরিক হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই আমার অনুভূতিগুলো আড়াল করার প্রবণতা আমার নেই। আমার অনুভূতি হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি, এটা দিয়েই আমি ভালো-মন্দ বুঝে নিতে পারি। আমার প্রকৃত সুখ আমার ভেতর থেকেই আসে, এবং প্রায়ই এটি আমার আনন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতিতে স্পর্শ করে।
শিল্প আমার জীবনের সবচেয়ে সূক্ষ্ম একটি অনুভূতির নাম। যদিও আমার অনুভূতিগুলোকে কথায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে খুবই কঠিন। যেভাবে আমি গাড়ি চালাই, যেভাবে আমি একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করি, এটা আমার ভেতরের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ।
কবিতা হলো শক্তিশালী অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ : এটি আমার প্রশান্তিতে স্মরণ করা আবেগ থেকে উৎপত্তি হয়। যদিও আমার অনুভূতিগুলো অন্যকে বলা সত্যিই অসম্ভব এবং কঠিন। তবে আমি মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করি। হয়তো এটি আপনার কাছে কিছুই না হতে পারে, তবে এটি আমার কাছে সবকিছুই হতে পারে। যেখানে আমার চিন্তা হলো আমার অনুভূতির ছায়া, যা সব সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন, শূন্য এবং সহজ। আমার বুদ্ধি আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারে কিন্তু আমার আবেগ আমাকে কখনো মিথ্যা বলে না। আমি আমার আবেগী মনের সহনশীলতায় থাকতে চাই; আমি এগুলো ব্যবহার করতে, সেগুলো উপভোগ করতে এবং সেগুলোর ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে চাই।
কেননা আমি যদি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তবে আমি নিজের জীবনের অর্থ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। যদি আমি বাইরের জগতে সুখ খুঁজি, পাব না। কারণ বাইরের জগৎ আমাকে ঘটনা বাছাই করার সুযোগ দেবে না। ভেতরের ঘটনা আমার নিজস্ব। তাই স্থায়ী সুখানুভূতি নিজের ভেতর থেকে অর্জন করে নিতে শিখেছি। অনুভূতির রাজ্যে আমরা সকলেই সমান। সেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। একটা জিনিস কখনোই আমি চাইলেও লুকোতে পারব না, আর সেটা হলো আমার ভেতরের অনুভূতি। কোনো কিছুকে ভালোবাসার অর্থ হলো, সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো, যখন আমি কারও সামনে থাকি আর কাছে থাকি তখন, যখন তার অনুভূতিতে থাকি। আমি গাছতলায় থেকেও স্বর্গের অনুভূতি পেতে পারি একমাত্র ভালোবাসার দ্বারা।
কোনো কারণেই অন্যের কাছে ভালোবাসা প্রত্যাশা করো না। কারণ ভালোবাসা এক অনুভূতির নাম, যা হয়তো অনেকের কাছে একান্ত নিজস্ব। যদিও ভালোবাসা একটি শক্তিশালী আবেগ। ভালোবাসা অন্য সবকিছুকে গুরুত্বহীন করে দেয়, কারণ অন্য সবের আবেগ ভালোবাসার চেয়ে এত বেশি শক্তিশালী নয়। হয়তো সবাই আমাকে কষ্ট দেবে, তবু আমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে, যার দেওয়া কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব। যদিও আমার বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে আছে। হয়তো বলবেন ভালোবাসা হলো ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন। আমিও না হয় মেনে নিলাম। কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে একধরনের দুর্বলতা থাকে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে অনেক ছোট করে দেয়।
আমার আবেগী মনের যে অপ্রকাশিত আবেগ আছে, তা কখনো মরে যাবে না। এগুলো জীবিত কবর দেওয়া হলেও পরে একসময় অকৃপণের মতো বেরিয়ে আসবে। তাই একাকিত্ব, আকাক্সক্ষা বা ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলো কখনো কখনো শব্দে প্রকাশ করে না; যে কারণেই আমরা সবাই সংগীত পছন্দ করি, কারণ সংগীত এমন কিছু অনুপ্রাণিত করে, যা আমরা বাদ দিতে পারি না। তবে জীবনের চলার পথে অনেক কিছুই এড়িয়ে চলতে হয়, ঠিক তেমনি আবেগকেও এড়িয়ে চলা দরকার। আবার অন্যদিকে তাদের জন্য দুঃখ হয়, যাদের মনের মধ্যে কোনো আবেগ নেই। এও সত্যি যে একটি আহত আবেগী মন সময়মতো নিরাময় হয় এবং নিজ থেকেই হয়; যখন হয় তখন আমাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমাদের হারিয়ে যাওয়া মানুষের স্মৃতি এবং ভালোবাসা আমাদের ভেতরে বিস্তার করে। কারও অবহেলা মানেই আমার জীবন শেষ নয়, একজনের কাছে আমি মূল্যহীন হতে পারি, সবার কাছে নয়। তবে কারও কাছে মূল্যহীন হওয়ার চেয়ে নিজের কাছে শূন্য থাকা শ্রেয়।
প্রেমের আনন্দ থাকে অতি স্বল্পক্ষণ কিন্তু প্রেমের বেদনা থাকে সারাটি জীবন। তবে হ্যাঁ, কষ্ট পাওয়া জীবনের জন্য খুবই জরুরি একটা বিষয়, কারণ এটা জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। একটি আবেগপ্রবণ মন আপনার হৃদয় ভেঙে দিতে পারে, আবার কখনো কখনো নিরাময়ও করতে পারে। একটি আবেগী মনের অনুভূতি দিয়ে যা দেখা যায়, তা কখনো চোখ দিয়ে দেখা যায় না।
শুধু মনকে যদি আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, তাহলে দুঃখ কী জিনিস, তা আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। যা আমি আমার মনের আবেগ দিয়ে চিন্তা করি, আর তা-ই আমার পছন্দ। কেবল একটি জিনিসই আমি গোপন করতে পারি না, তা হলো আমার আবেগী মন, যা আমার ভেতরে গুমরে কাঁদে। সর্বোপরি অনুভূতি দিয়েই দেখি, ভাবি আর করি। অনুভূতির জয় হোক।
আমি ড. রফিকুল ইসলাম কারও প্রশংসা বা দোষের দিকে কোনো রকম মনোযোগ দিই না। আমি কেবল নিজের অনুভূতি অনুসরণ করি। যেহেতু ভালোবাসা কখনোই দেখা বা ছোঁয়া যায় না, এটা হৃদয় দিয়েই অনুভব করে নিতে হয়। আসলে বিষয়টি হচ্ছে মানুষের ভালোবাসাতেই মানুষ, মানুষকে স্নেহ এবং সুরক্ষা দিলে হয়তো-বা তারাও একদিন স্নেহ দেবে এবং তাদের অনুভূতি ও আচরণ থেকেও সুরক্ষিত থাকা যাবে।
আমারও অনুভূতি আছে। আমি এখনো মানুষ। আমি যা চাই তা ভালোবাসি, তা নিজের জন্য এবং আমার প্রতিভার জন্য। যেখানে অনুভূতি বা আবেগ হলো সর্বজনীন ভাষা এবং আমার কাছে সম্মানিত। এগুলো হচ্ছে আমার গভীরতম স্থানে, কে আমি তার সত্যিকারের অভিব্যক্তি। যেহেতু সবকিছু বলে বোঝানো যায় না, কিছু কিছু কথা অনুভবে বুঝে নিতে হয়। তবে নিজের বোধের আগে অন্যের অধিকার এবং নিজের অধিকারের আগে অন্যের অনুভূতি বিবেচনা করা উচিত।
বিশ্বের সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলো দেখা বা ছোঁয়া যায় না। এগুলো অবশ্যই হৃদয় দিয়ে আমাকে অনুভব করে নিতে হয়। আমি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করা পছন্দ করি না এবং নীতিগত বিষয় হিসেবে আমি অন্য লেখকদের সমালোচনা পছন্দ করি না। আমরা অনেকেই সত্যের ওপর আইন প্রয়োগ করি। আর আমি সত্যের ওপর অনুভূতি প্রয়োগ করি।
সংগীত আমার মধ্যে অনেক অনুভূতি জাগায়, অতীত এবং অতীতের সঙ্গে সংযুক্ত আছে এমন সব জিনিস সংগীতের মধ্যে খুঁজে পাই। আমি একজন পুরুষ হিসেবে একজন নারীর জন্য আবেগ স্পষ্ট হবে এবং আন্তরিক হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই আমার অনুভূতিগুলো আড়াল করার প্রবণতা আমার নেই। আমার অনুভূতি হলো আমার সবচেয়ে বড় শক্তি, এটা দিয়েই আমি ভালো-মন্দ বুঝে নিতে পারি। আমার প্রকৃত সুখ আমার ভেতর থেকেই আসে, এবং প্রায়ই এটি আমার আনন্দের স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতিতে স্পর্শ করে।
শিল্প আমার জীবনের সবচেয়ে সূক্ষ্ম একটি অনুভূতির নাম। যদিও আমার অনুভূতিগুলোকে কথায় প্রকাশ করা আমার পক্ষে খুবই কঠিন। যেভাবে আমি গাড়ি চালাই, যেভাবে আমি একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করি, এটা আমার ভেতরের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ।
কবিতা হলো শক্তিশালী অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রবাহ : এটি আমার প্রশান্তিতে স্মরণ করা আবেগ থেকে উৎপত্তি হয়। যদিও আমার অনুভূতিগুলো অন্যকে বলা সত্যিই অসম্ভব এবং কঠিন। তবে আমি মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করি। হয়তো এটি আপনার কাছে কিছুই না হতে পারে, তবে এটি আমার কাছে সবকিছুই হতে পারে। যেখানে আমার চিন্তা হলো আমার অনুভূতির ছায়া, যা সব সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন, শূন্য এবং সহজ। আমার বুদ্ধি আমাকে বিভ্রান্ত করতে পারে কিন্তু আমার আবেগ আমাকে কখনো মিথ্যা বলে না। আমি আমার আবেগী মনের সহনশীলতায় থাকতে চাই; আমি এগুলো ব্যবহার করতে, সেগুলো উপভোগ করতে এবং সেগুলোর ওপর আধিপত্য বজায় রাখতে চাই।
কেননা আমি যদি আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, তবে আমি নিজের জীবনের অর্থ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। যদি আমি বাইরের জগতে সুখ খুঁজি, পাব না। কারণ বাইরের জগৎ আমাকে ঘটনা বাছাই করার সুযোগ দেবে না। ভেতরের ঘটনা আমার নিজস্ব। তাই স্থায়ী সুখানুভূতি নিজের ভেতর থেকে অর্জন করে নিতে শিখেছি। অনুভূতির রাজ্যে আমরা সকলেই সমান। সেখানে কোনো ভেদাভেদ নেই। একটা জিনিস কখনোই আমি চাইলেও লুকোতে পারব না, আর সেটা হলো আমার ভেতরের অনুভূতি। কোনো কিছুকে ভালোবাসার অর্থ হলো, সেটি বেঁচে থাক তা চাওয়া। সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো, যখন আমি কারও সামনে থাকি আর কাছে থাকি তখন, যখন তার অনুভূতিতে থাকি। আমি গাছতলায় থেকেও স্বর্গের অনুভূতি পেতে পারি একমাত্র ভালোবাসার দ্বারা।
কোনো কারণেই অন্যের কাছে ভালোবাসা প্রত্যাশা করো না। কারণ ভালোবাসা এক অনুভূতির নাম, যা হয়তো অনেকের কাছে একান্ত নিজস্ব। যদিও ভালোবাসা একটি শক্তিশালী আবেগ। ভালোবাসা অন্য সবকিছুকে গুরুত্বহীন করে দেয়, কারণ অন্য সবের আবেগ ভালোবাসার চেয়ে এত বেশি শক্তিশালী নয়। হয়তো সবাই আমাকে কষ্ট দেবে, তবু আমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে, যার দেওয়া কষ্ট আমি সহ্য করতে পারব। যদিও আমার বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনো কখনো বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে আছে। হয়তো বলবেন ভালোবাসা হলো ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন। আমিও না হয় মেনে নিলাম। কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে একধরনের দুর্বলতা থাকে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে অনেক ছোট করে দেয়।
আমার আবেগী মনের যে অপ্রকাশিত আবেগ আছে, তা কখনো মরে যাবে না। এগুলো জীবিত কবর দেওয়া হলেও পরে একসময় অকৃপণের মতো বেরিয়ে আসবে। তাই একাকিত্ব, আকাক্সক্ষা বা ভালোবাসার মতো অনুভূতিগুলো কখনো কখনো শব্দে প্রকাশ করে না; যে কারণেই আমরা সবাই সংগীত পছন্দ করি, কারণ সংগীত এমন কিছু অনুপ্রাণিত করে, যা আমরা বাদ দিতে পারি না। তবে জীবনের চলার পথে অনেক কিছুই এড়িয়ে চলতে হয়, ঠিক তেমনি আবেগকেও এড়িয়ে চলা দরকার। আবার অন্যদিকে তাদের জন্য দুঃখ হয়, যাদের মনের মধ্যে কোনো আবেগ নেই। এও সত্যি যে একটি আহত আবেগী মন সময়মতো নিরাময় হয় এবং নিজ থেকেই হয়; যখন হয় তখন আমাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য আমাদের হারিয়ে যাওয়া মানুষের স্মৃতি এবং ভালোবাসা আমাদের ভেতরে বিস্তার করে। কারও অবহেলা মানেই আমার জীবন শেষ নয়, একজনের কাছে আমি মূল্যহীন হতে পারি, সবার কাছে নয়। তবে কারও কাছে মূল্যহীন হওয়ার চেয়ে নিজের কাছে শূন্য থাকা শ্রেয়।
প্রেমের আনন্দ থাকে অতি স্বল্পক্ষণ কিন্তু প্রেমের বেদনা থাকে সারাটি জীবন। তবে হ্যাঁ, কষ্ট পাওয়া জীবনের জন্য খুবই জরুরি একটা বিষয়, কারণ এটা জীবন সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। একটি আবেগপ্রবণ মন আপনার হৃদয় ভেঙে দিতে পারে, আবার কখনো কখনো নিরাময়ও করতে পারে। একটি আবেগী মনের অনুভূতি দিয়ে যা দেখা যায়, তা কখনো চোখ দিয়ে দেখা যায় না।
শুধু মনকে যদি আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম, তাহলে দুঃখ কী জিনিস, তা আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। যা আমি আমার মনের আবেগ দিয়ে চিন্তা করি, আর তা-ই আমার পছন্দ। কেবল একটি জিনিসই আমি গোপন করতে পারি না, তা হলো আমার আবেগী মন, যা আমার ভেতরে গুমরে কাঁদে। সর্বোপরি অনুভূতি দিয়েই দেখি, ভাবি আর করি। অনুভূতির জয় হোক।