সিএমজিকে ড. ইউনূস

বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত চীন

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ২২:২৯ , অনলাইন ভার্সন
চীন বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্প্রতি চীন সফরে বেইজিংয়ে চায়না মিডিয়া গ্রুপকে (সিএমজি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সিএমজির বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বড় রকমের সংস্কার দরকার। তিনি বলেন, চীন সরকার, চীনা ব্যবসায়ী ও জনগণ সবার কাছ থেকে বড় ধরনের সমর্থন পাওয়া গেছে। এই সমর্থন খুবই দরকারি। এটা আনন্দেরও। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক চীন সফর সুন্দর ও সফল হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

প্রায় এক দশকেরও আগে চীন সফরে এসে দেশটির গ্রামাঞ্চলের নারীদের দরিদ্রতা দেখেছিলেন ইউনূস। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব জায়গায় দারিদ্র্যের চেহারা একই রকম। এটি জয়ের সমাধান হলো, মানুষের সৃজনশীলতাকে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সহযোগিতা করা।

ড. ইউনূস বলেন, যার কাজ সে করবে, সমাজ তাকে সহযোগিতা করবে, যেন সে এগিয়ে যেতে পারে। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি বলেন, এই অর্থ তাদের কাছে একটা শক্তি, এই শক্তি ব্যবহার করে জীবন বদলে ফেলা সম্ভব।

নিজের তিন শূন্য তত্ত্ব ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নতুন শৈলীর আধুনিকায়ন তত্ত্বের মিল প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘বিষয়গুলো একই। অনেক সামঞ্জস্য রয়েছে, যা আমরা বিভিন্ন ভাবে বলার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, নতুন এক পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে। পুরোনো পৃথিবীকে যতই টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, তা সফল হবে না। বরং সুন্দর নতুন এক পৃথিবীর জন্য যে কাঠামো ও তত্ত্ব প্রয়োজন, তার আলোকে নতুন চিন্তার কাঠামো গড়ে নতুন এক পৃথিবী গড়ে তোলা উচিত।

চীন-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে করা এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে তার সফল আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে সহায়তা ও সমর্থন দরকার। চীন তাতে আগ্রহী এবং প্রেসিডেন্ট শি চেষ্টা করবেন তা বাংলাদেশকে যথাসময়ে পৌঁছে দিতে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি ও বাণিজ্যে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে। আজকে সবার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, চীনা বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবেন, নতুন করে কী করা যায় তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘চীনে আমরা অনেক বন্ধু পেয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে এই বন্ধুত্ব কাজে লাগাব।’

দুই দেশের সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার চেষ্টা করবে কীভাবে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গভীর ও ঘনিষ্ঠ করা যায়।

তিনি জানান, এবারের সফরের উদ্দেশ্য ছিল সম্পর্ক আরও মজবুত করা। সে জন্য রাষ্ট্রপ্রধান ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। চীন যেকোনো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে চায় বলে জানান অধ্যাপক ইউনূস।

এই সাক্ষাৎকারের সময় ড. ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন চায়নিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক দু। তিনি চীনের গ্রামীণ নারীদের জীবনমানের উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন।

ঠিকানা/এনআই
M M Shahin, Chairman Board of Editors, Thikana

Corporate Headquarter :

THIKANA : 7409 37th Ave suite 403

Jackson Heights, NY 11372

Phone : 718-472-0700/2428, 718-729-6000
Fax: + 1(866) 805-8806



Bangladesh Bureau : THIKANA : 70/B, Green Road, (Panthapath),
5th Floor, Dhaka- 1205, Bangladesh.
Mobile: 01711238078